earthquakদক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। সর্বশেষ ৩৩৫ জনেরও বেশি নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া আহত হয়েছে অন্তত এক হাজার লোক। নিহতের সংখ্যা পাকিস্তানেই বেশি এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে এই দেশে।

chardike-ad

সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ৩টার দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, শুধু পাকিস্তানে নিহত হয়েছে অন্তত ২৫৩ জন। আর আফগানিস্তানে ৮২ জন নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে।

ইউএস জিওলজিকাল সার্ভে (ইউএসজিএস) প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পটি রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার বলে জানিয়েছিল। পরে এটি সংশোধন করে ৭ দশমিক ৫ মাত্রা ছিল বলে জানায়। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল হিন্দু কুশ পার্বত্যাঞ্চল।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইন জানিয়েছে, ভূমিকম্পের প্রভাবে লাহোর, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ার, কোয়েটা, কোহাত ও মালকান্দে কম্পন অনুভূত হয়েছে। কম্পনের স্থায়িত্বকাল ছিল ৪০ সেকেন্ড। তবে ৪০ মিনিট পরে এসব স্থানে আবারও ভূকম্পন অনুভূত হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের প্রভাবে জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড ও রাজস্থানে কম্পন অনুভূত হয়েছে। সব এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিভাবে জানা যায়নি।

ভূমিকম্পে পাকিস্তানের যেসব অঞ্চলে নিহত হয়েছে, তার মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়া ও ফাতা এলাকা, পাঞ্জাব, আজাদ জম্মু কাশ্মীর ও গিলগিট বালিতিস্তান রয়েছে।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সোয়াত অঞ্চলে। কমপক্ষে ১৯৪ জন আহতকে সোয়াতের সাইদু শরীফ শিক্ষা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা অপ্রতুল হওয়ায় সেখানে রীতিমতো ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে শতাধিক আহতকে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের প্রদেশ তাখারে ভূমিকম্পের সময় স্কুল থেকে বের হওয়ার সময় পদদিলত হয়ে ১২ ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রাদেশিক প্রধান আব্দুল রাজাক জিন্দা জানান, ‘ছাত্রীরা অন্যদের পায়ে নিচে পড়ে গিয়েছিল।’ ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তাখার প্রদেশে অনেক বেশি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।