বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম দুই আসরে ক্রিকেটার বিকিকিনির হাট বসলেও এবার তা হয়নি। এবার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল লটারি আর ড্রাফটের আগেই ঠিক করে দেয় গ্রেড অনুযায়ী খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক। এতে তৃতীয় আসরের আগে নেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর টাকার ঝনঝনানি। বৃহস্পতিবারের ড্রাফট অনুষ্ঠানে ছয় দল মিলে ব্যয় করেছে ৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা।
বিপিএলের তৃতীয় আসরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ২০ নভেম্বর। গত বৃহস্পতিবার হোটেল র্যাডিসনে অনুষ্ঠিত হয় এবারের আসরের খেলোয়াড় নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর দল সাজানোর কাজ। এতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ঢাকা ডিনামাইটস, রংপুর রাইডার্স, চিটাগং ভাইকিংস, বরিশাল বুলস ও সিলেট সুপারস্টারস মিলে কিনে নেয় ৬৩ দেশী ও ৪৩ জন বিদেশী ক্রিকেটার। এছাড়া বিদেশী তারকা ক্রিকেটারদের একটি তালিকাও এরই মধ্যে প্রতিটি দল থেকে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের হাতে। তবে সেসব তারকার সঙ্গে চুক্তির কাগজপত্র এখনো বোর্ডে জমা পড়েনি। তাই গেইল-সাঙ্গা-আফ্রিদিদের চুক্তির অঙ্ক এখনো জানা যায়নি।
বিপিএলে স্থানীয় ৬৩ ক্রিকেটারের পেছনে ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যয় ১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে বিদেশী মাত্র ৪৩ ক্রিকেটারকে দল ভেড়াতেই এর চেয়ে বেশি খরচ করতে হয়েছে দলগুলোকে। এ খাতে খরচ হয়েছে ১৮ কোটি ৬৬ লাখ। সব মিলিয়ে ১০৬ ক্রিকেটার নিয়ে বিপিএলে দল সাজাতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর টাকার অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে ৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা। বলা বাহুল্য, এ টাকার অঙ্কটা আরো বাড়বে। কেননা কোনো দলই তাদের ১৩ দেশী ও ১২ বিদেশী ক্রিকেটার ক্রয়ের কোটা পূরণ করতে পারেনি। বিসিবির কাছে কোটা পূর্ণ করার আবেদনও করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
মোট ১৩ রাউন্ডের নিলামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১০ জন দেশী ক্রিকেটারের পাশাপাশি বিদেশী ক্যাটাগরিতে চারজন বিদেশী ক্রিকেটার নিয়ে স্কোয়াড সাজায়। এতে দেশী ক্রিকেটার ক্রয়ে ২ কোটি ১৮ লাখ এবং বিদেশী ৩ কোটি ২০ লাখ খরচে তাদের মোট ব্যয় ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থ ব্যয়ে এর পরের দলটির নাম ঢাকা ডিনামাইটস। তারা দলভুক্ত করেছে নয়জন দেশী (১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা) ও তিনজন বিদেশী (বিদেশী ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা) ক্রিকেটারকে। তাদের ব্যয় ৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। রংপুর রাইডার্স তাদের নয়জন দেশী ও তিনজন বিদেশীর পেছনে ব্যয় করেছে যথাক্রমে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ও বিদেশী ৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। মোট ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। টাকা ব্যয়ে চার নম্বর চিটাগং ভাইকিংস। ১০ দেশী (২ কোটি ১৭ লাখ টাকা) ও তিন বিদেশীর (২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা) পেছনে ব্যয় ৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আর সিলেট সুপারস্টারস নয়জন দেশী ক্রিকেটারের পাশাপাশি তিনজন বিদেশী ক্রিকেটার তালিকাভুক্ত করেছে। তাদের খরচ ৫ কোটি ৮ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত টাকা খরচে সবচেয়ে পিছিয়ে বরিশাল বুলস। দেশী ক্রিকেটারদের পেছনে ২ কোটি ২৪ লাখ আর বিদেশীদের পেছনে ২ কোটি ৭২ লাখ খরচায় তাদের ব্যয় ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।