তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে জয় পাওয়া সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ জিতে ৩-২ সিরিজ জিতে নিয়েছে। স্বাগতিক ভারতকে ২১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা।
সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ওয়ানডে সিরিজ জিততে টিম ইন্ডিয়াকে ৪৩৯ রানের বিশাল টার্গেট দেয়। ৩৬ ওভারে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের দল ভারত।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করা দ. আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৩৮ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে শতক হাঁকান ওপেনার কুইন্টন ডি কক, ফাফ ডু প্লেসিস এবং এবিডি ভিলিয়ার্স। তিন অঙ্কের ঘর টপকে যান ভারতের ভুবনেশ্বর কুমারও। আর মাত্র দুটি রান করতে পারলেই নিজেদের দলগত সর্বোচ্চ রান টপকে যেতে পারতো প্রোটিয়ারা। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩৯ রান করেছিল দ. আফ্রিকা।
দলীয় ৩৩ রানের মাথায় প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা মোহিত শর্মার বলে উইকেটের পেছনে থাকা মহেন্দ্র সিং ধোনির গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন। আউট হওয়ার আগে ওয়ানডেতে দ্রুততম ছয় হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। ১৩ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেন আমলা। তবে, আরেক ওপেনার ডি কক ফেরার আগে খেলেন ১০৯ রানের ইনিংস। মাত্র ৮৭ বল মোকাবেলা করে ডি কক তার ইনিংস সাজান ১৭টি চার আর একটি ছক্কায়। ফাফ ডু প্লেসিসের সঙ্গে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন ডি কক।
তিন নম্বরে নামা প্লেসিস রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে খেলেন ১৩৩ রানের অনবদ্য ইনিংস। ১১৫ বল মোকাবেলা করে ৯টি চারের পাশাপাশি তিনি ৬টি ছক্কা হাঁকান। মাঠ ছাড়ার আগে এবিডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে আরও ১৬৪ রান যোগ করেন প্লেসিস।
প্রোটিয়া দলপতি গত ম্যাচের পর এ ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছেন। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে টিম ইন্ডিয়ার বোলাররা। মাত্র ৬১ বল খেলে ভিলিয়ার্স তিনটি বাউণ্ডারি হাঁকান। তার ১১৯ রানের ইনিংসে ওভার বাউণ্ডারি ছিল ১১টি। এছাড়া ডেভিড মিলার ১২ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এ ম্যাচে শতক এসেছে আরও একটি। ভারতের বোলার ভুবনেশ্বর কুমার ১০ ওভার বল করে একটি উইকেট নিতে খরচ করেন ১০৬ রান।
৪৩৯ রানের টার্গেটে নেমে ভারত অলআউট হওয়ার আগে তোলে ২২৪ রান। রেপনার রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে আসে ১৬ এবং আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিরাট কোহলি করেন ৭ রান। সুরেশ রায়না বিদায় নেন ১২ রানে। আর টিম ইন্ডিয়ার দলপতি ধোনির ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান।
চার নম্বরে ব্যাট হাতে নামা আজিঙ্কা রাহানে খেলেন সর্বোচ্চ ৮৭ রানের ইনিংস। ৫৮ বলে ৯টি চার আর ৩টি ছক্কায় তিনি ইনিংস সাজান।
দ. আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট তুলে নেন কেগিসো রাবাদা। এছাড়া ডেল স্টেইন নেন তিনটি উইকেট। দুটি উইকেট দখল করেন ইমরান তাহির। আর একটি উইকেট পান কাইল অ্যাবোট।
ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার উঠে কুইন্টন ডি ককের হাতে। সিরিজ সেরা হন ভিলিয়ার্স। (বাংলানিউজ)