Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ritaপুরো নাম মার্গারিতা মামুন, ডাকনাম রিতা৷ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশ এই তরুণী রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছেন৷ রিতার সাফল্য নিয়ে আমাদের আজকের পরিবেশনা৷

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রিতা
মার্গারিতা মামুনের বাবা বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন, মা রাশিয়ান আন্না মামুন৷ ছোটবেলায় অনেকবার বাংলাদেশে গেছেন রিতা রিতা একজন ক্রীড়াবিদ, রিদমিক জিমন্যাস্ট৷

chardike-ad

যেভাবে শুরু
রাশিয়ার রিদমিক জিমন্যাস্ট দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রিতা৷ এপর্যন্ত পৌঁছানোর ইতিহাস জানা যায় দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে৷ ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর জন্ম নেয়া রিতা সাত বছর বয়স থেকেই রিদমিক জিমন্যাস্টিকস চর্চা শুরু করেন৷

বাংলাদেশি হিসেবে প্রতিযোগিতায়
দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রিতা জুনিয়র হিসেবে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন৷ ২০০৫ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিচরণ তাঁর৷ জুনিয়র পর্যায়ে বাংলাদেশের হয়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি৷ তবে এক পর্যায়ে রাশিয়ার হয়েই এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রিতা৷

সাফল্যের শুরু
২০১১ সাল থেকে রিতার জীবনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসতে শুরু করে ওই বছর রাশিয়ার চ্যাম্পিয়নশিপে হুপ ও বলে অল-অ্যারাউন্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পান৷

প্রথম সোনা জয়
২০১১ সালে মন্ট্রিল ওয়ার্ল্ড কাপে অংশ নিয়ে ১০৬.৯২৫ পয়েন্ট অর্জন করে অল-অ্যারাউন্ডে ব্রোঞ্জ পান রিতা৷ আর বল ফাইনালে ২৭.০২৫ পয়েন্ট নিয়ে স্বর্ণ জিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন৷

রিতার এগিয়ে চলা
চলতি বছরের মার্চে এই আসরে রিতা তিনটি স্বর্ণ পদক, একটি সিলভার এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন৷

সাফল্যের কিছু নমুনা
উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী রিতা রিদমিক জিমন্যাস্টিকসের ২০১৪ সালের ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপে সবমিলিয়ে সিলভার মেডেলিস্ট এবং ২০১৩ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালে ‘অল অ্যারাউন্ড’ চ্যাম্পিয়ন৷

‘বাংলার বাঘিনী’ রিতা
রিতাকে বলা হয় ‘বাংলার বাঘিনী৷’ আর এই খেতাব তাঁকে দিয়েছেন তাঁর রুশ কোচ ইরিনা ভিনের৷ রাশিয়ার গণমাধ্যমেও রিতাকে ‘বাংলার বাঘিনী’ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়৷

বাংলা বলা
রিতা নাকি ছোটবেলায় ভাঙা ভাঙা বাংলাও বলতে পারতেন৷ বাবার সঙ্গে বাংলাদেশে অনেকবার বেড়াতেও গিয়েছেন তিনি৷ রাশিয়ার গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি৷

ফেসবুকে, ইন্সটাগ্রামে রিতা
রিতার সাফল্যের খবর নিয়মিত পাওয়া যাবে ফেসবুকে৷ ‘মার্গারিতা মামুন ফ্যানস’ নামক একটি পাতা রয়েছে তাঁর৷ এছাড়া ইন্সটাগ্রাম এবং ভিকন্টাক্টিয়াতেও পাওয়া যাবে তাঁকে৷