মিনায় পদপিষ্ট হয়ে নিহতদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩৭ বাংলাদেশিকে শনাক্ত করা হয়েছে। রোববার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ কথা জানান ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও ৫৩ বাংলাদেশির কোনো সন্ধান সৌদি আরবে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা পাননি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, যে ১৩৭ বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে পরিচয় জানা গেছে ৯৬ জনের। এখনও বেশ কয়েকজন সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এ কে এম শহীদুল করিম যে তথ্য দিয়েছিলেন, তাতে ৯২ বাংলাদেশিকে শনাক্ত করার কথা বলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, হজের আনুষ্ঠানিকতার শেষ পর্যায়ে ২৪ সেপ্টেম্বর মক্কার অদূরে মিনায় ‘শয়তানের স্তম্ভে’ পাথর নিক্ষেপ করতে যাওয়ার পথে পদদলনের ঘটনা ঘটে। এর দুই দিন পর মোট ৭৬৯ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানায় সৌদি কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া মোট ৯৩৪ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলেছিলেন সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হলেও সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে হতাহতের আর কোনো হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
এ বিষয়ে ৪৩টি দেশের পক্ষ থেকে মিনায় নিহত নাগরিকদের যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তা যোগ করলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই হাজারের বেশি।
ইরান বলে আসছে, মিনার ঘটনায় তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ইরানি নাগরিক রয়েছেন অন্তত ৪৬৪ জন।
সৌদি বাদশাহর ছেলের গাড়িবহর হঠাৎ ‘মিনার কেন্দ্রস্থলে আসায়’ এবং দুটি পথ বন্ধ করে দেওয়ায় তীব্র ভিড়ের কারণে সেদিন পদদলনের ওই ঘটনা ঘটে বলেও অভিযোগ করে আসছে ইরান।
অন্যদিকে সৌদি কর্তৃপক্ষ বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল-আজিজের ছেলের মিনায় উপস্থিতির বিষয়টি `সঠিক নয়` দাবি করে উল্টো ইরানি হজযাত্রীদের নির্দেশনা না মানার কথা বলেছেন।