রংপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে জনৈক জাপানি নাগরিক মারা গেছেন। আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার কিছুক্ষণ আগে জেলার কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি মহিষওয়ালা মোড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে কাউনিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম ওসি কনিও। তিনি একজন পর্যটক ছিলেন। ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক খুনের এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দেশে বিদেশি নাগরিক হত্যার দ্বিতীয় ঘটনা ঘটলো।
পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানাচ্ছেন, গ্রামের পথে হেঁটে যাওয়ার সময় মি. কনিও হামলার শিকার হন, “কনিও হেঁটে যাচ্ছিলেন। দুই দুর্বৃত্ত মোটর সাইকেলে করে এসে তাকে তিনটি গুলি করে। একটি গুলি তার বুকে, একটি ডান হাতে এবং আরেকটি কাঁধে বিদ্ধ হয়।”
কারা কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। নিহতের লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লাও হাঁটার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রেও খুনিরা মোটর সাইকেলে এসেছিল বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
বাংলাদেশে চলাচলে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর সতর্কতা জারির মধ্যে তাভেল্লা হত্যাকাণ্ড ঘটে। তা নিয়ে আলোচনার মধ্যে খুন হলেন জাপানি নাগরিক।
তাভেল্লা হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি দল আই্এসের বার্তা আসার খবর জঙ্গি হুমকি পর্যবেক্ষণকারী একটি ওয়েবসাইট জানালেও তার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের।