Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

Australiaঅস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ তাদের নির্ধারিত বাংলাদেশ সফর নিরাপত্তার কারণে স্থগিত করার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বলছে, তাদের আনার জন্য বাংলাদেশের এখন আর কিছুই করার নেই।

বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে অন্য দুটি দেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ নির্ধারিত রয়েছে। সুতরাং আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে তাদের বাংলাদেশ সফরেরে কোনো সম্ভাবনা নেই।

chardike-ad

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বলছে, গত ছয়দিন বিস্তারিত আলোচনা এবং গবেষণার পর সফর স্থগিত করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেন, ‘এখন আমাদের করার আর কিছু নেই। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। রাষ্ট্রীয় অতিথিরা যখন আসে তখন তাদের যে নিরাপত্তা দেওয়া হয় সেই নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছি, আশ্বস্ত করেছি।’

তিনি বলেন, ‘তবে অস্ট্রেলিয়া টিম মনে করছে, এই মুহূর্তে অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ সফর তাদের জন্য নিরাপদ না। এজন্য সাময়িক এটা স্থগিত করা হয়েছে।’

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র এবং বাণিজ্য বিষয়ক দপ্তর, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ নিয়ে ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য’ দেবার পর তারা সফর স্থগিত করে।

জালাল ইউনুস বলছিলেন, এই একই মাত্রার ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে।

তিনি বলেন, ‘ঝুঁকির কথা তারা যেটা বলছে সেটা কিন্তু ২০১৪ সালের ওয়ার্ল্ড কাপের সময়ও ছিল, কিন্তু সে সময় আমরা ২৪টা টিমকে এক সঙ্গে হ্যান্ডেল করেছি। তাদের প্রয়োজনীয় সব নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল এবং কোনো ঘটনা ঘটেনি। লেভেল-২ অ্যালার্ট তখন ছিল, এখনো আছে।’

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সামনের দিনগুলোতে শ্রীলঙ্কার সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে নভেম্বরে সিরিজ আছে।

জালাল ইউনুস বলছিলেন, ‘আমরা জানি না তারা কোনো গ্যাপে এখানে আসবে। আমরা এই মাসে আসার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। অন্য কোনো সিরিজ বাতিল করে যদি আসতে পারে সেটা হতে পারে। কিন্তু আমি আগামী ছয় মাস বা আট মাসের মধ্যে কোনো সম্ভাবনা দেখছি না বাংলাদেশে আসার।’

এদিকে, নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর স্থগিতের ঘোষণার পর হতাশা এবং ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার এবং ভক্তরা।

তারা বলছেন, বাংলাদেশে এমন কোনো পরিস্থিতি নেই যে নিরাপত্তার অজুহাতে ক্রিকেট সিরিজ বন্ধ হতে পারে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা