Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

nurseবাংলাদেশের চিকিত্সক, নার্স ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে দক্ষিণ কোরিয়া সহায়তা অব্যাহত রাখবে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাত্ করতে এসে  দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় সংসদীয় দলের প্রতিনিধিবৃন্দ এই আশ্বাস প্রদান করেন। তারা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ইতিমধ্যে বেশ অগ্রগতি অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।

 বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং  পাবনা, যশোর, নোয়াখালী ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করতে কোরিয়ার কাছে সহায়তা চান। একই সাথে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে আরো ৫ টি মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণে সহায়তা চান। এ সময় প্রতিনিধিগণ দেশে গিয়ে সে দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে আলোচনা করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন।
বৈঠকে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, কোরিয়ান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার সহায়তায় ১৩০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বিএসএমএমইউতে একটি সুপার স্পেশাল হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বর্তমানে তাদের সহায়তায় মুগদা হাসপাতাল প্রাঙ্গনে ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ এডভান্সড প্র্যাক্টিসেস নার্সেস’ স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
কোরিয়ার জাতীয় সংসদের সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান কিম চুন জিন প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে কোরিয়ান ন্যাশনাল পলিসি কমিটির সদস্য কিম ইয়ং হুয়ান এমপি, কৃষি, খাদ্য, গ্রামীণ ও মত্স্য বিষয়ক কমিটির সদস্য পার্ক মিনসু, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ কমিটির সদস্য চোই ডং লি, আইসিএপিপি এর মহাসচিব কিম সাং ইয়ন এমপি উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আইয়ুবুর রহমান খান ও বিমান কুমার সাহা এনডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানসহ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। ইত্তেফাক।