জাতীয় দলের মোড়কেই ভারতে গেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তবুও ব্যর্থতার বৃত্তে সফরকারী দলটি।
ওয়ানডে সিরিজ খোয়ানোর পর সবারই প্রত্যাশা ছিল অন্তত রঞ্জি ট্রফির চ্যাম্পিয়ন দল কর্ণাটকের বিপক্ষে ভালো খেলবে মুমিনুল-নাসিররা। কিন্তু সেই প্রত্যাশাতেও পানি ঢেলে দিয়েছে টাইগাররা। কর্ণাটকের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ হেরে গিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘন্টা আগে পরাজয় বরণ করে বাংলাদেশ। চার উইকেটে জয় পেয়েছে কর্ণটক।
মাইশোরে কর্ণাটকের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫৮ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ২৮৭ রান করে ভারতের দলটি। ১২৯ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিং করে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে ৩০৯ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে কর্ণাটক ১৮০ রানের টার্গেট পায়। সেই লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ছয় উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে কর্ণাটক।
বৃহস্পতিবার ১৮৮ রানে দিন শুরু করেন লিটন দাস (৩৭) ও সৌম্য সরকার (২৪)। মাত্র ১ রান যোগ করে লিটন সাজঘরে ফিরে যান। সৌম্যও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৪৩ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। ষষ্ঠ উইকেট জুটি বাধেন নাসির হোসেন ও শুভাগত হোম। ৬১ রান যোগ করেন তারা। বেশ স্বাচ্ছন্দেই ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন এই দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
হাফসেঞ্চুরি থেকে ছয় রান দূরে থেকে নাসির সাজঘরের পথ ধরেন। এরপরই লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। শুভাগত হোম একাই ব্যাট চালিয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আল-আমিন হোসেন আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংস ৩০৯ রানে থেমে যায়। শুভাগত হোম ৭৪ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন।
১৮০ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে ৮২ রানে চার উইকেট হারায় কর্ণাটক। ম্যাচ জমিয়ে তুলেন আল-আমিন হোসেন ও সাকলায়েন সজীবরা। তবে পঞ্চম উইকেটে জয়ের ভিত পায় কর্ণাটক। অভিষেক রেড্ডি ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৪৩ রান যোগ করে দলের স্কোরকে ১২৫ এ নিয়ে যান।
আগারওয়াল ২৩ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পর শিশির ভাবানে (২৪) ও অভিষেক রেড্ডি (৩৬) সাজঘরের পথ ধরেন। তবুও কর্ণাটকের জয় পেতে সমস্যা হয়নি। শ্রেয়াস গোপাল শেষ দিকে ৪৪ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছয়ের মার ছিল।
সাকলায়েন সজীব ও আল-আমিন হোসেন দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বী ও জুবায়ের হোসেন লিখন।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরুতে তিন দিনের আরেকটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।