Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

soudiসৌদি আরবে মক্কার অদূরে মিনায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আট শতাধিক হাজি।

বৃহস্পতিবার আল-আরাবিয়া, রয়টার্স টাইমস অব ইন্ডিয়া ও আলজাজিরা অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হতাহতরা কোন দেশের তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

chardike-ad

সৌদি বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ টুইটার বার্তায় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পবিত্র শহর মক্কা থেকে তিন মাইল দূরে মিনায় হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতার শেষ পর্ব শয়তানের (প্রতীকী) উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপ করছিলেন হাজিরা। এ সময় পদদলিত হয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

সৌদি প্রতিরক্ষা বিভাগ আরো জানিয়েছে, মিনায় উদ্ধারকাজ চলছে। এ পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা ৭১৭ হাজির মরদেহ উদ্ধার করেছে।

সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা হাজীদের ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। এ জন্য তারা হাজিদের বিকল্প বিভিন্ন নিরাপদ রুট ব্যবহার করতে বলছেন। তাদের এই উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও টুইটারে জানানো হয়

দুর্ঘটনাস্থলের পাওয়া ভিডিও চিত্রে দেখা যাচ্ছে, আশেপাশে মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। অনেকে স্বজনদের মৃতদেহের পাশে বসে আহাজারি করছেন। আহতদের উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগে এ মাসের শুরুতে মক্কায় মসজিদুল হারামে সংস্কারকাজে ব্যবহৃত একটি বিশাল ক্রেন ভেঙে ১১৭ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরো ২৩৮ জন। হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর মাত্র কয়েকদিন আগে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

সৌদি অারবের মিনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি অাবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। –

এদিকে সৌদি আরবের মিনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এবার বি

শ্বের প্রায় ১৫০ দেশের ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করছেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা এক লাখের বেশি।ইসলামী রীতি অনুযায়ী, বুধবার তারা আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়ে দিনভর ইবাদত করেন এবং হজের খুতবা শোনেন। আরাফাত থেকে মিনায় ফেরার পথে মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার নামাজ পড়ে তারা পাথর সংগ্রহ করেন। এরপর মিনার জামারায় শয়তানকে (প্রতীকী) উদ্দেশ্য করে তা নিক্ষেপ করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ফজরের নামাজ শেষে মুসল্লিরা মিনায় ফিরে জোহরের নামাজ আদায় করেন এরপর শয়তানকে পাথর ছোড়ার পর্ব শেষ করে তারা কোরবানি দেন। কোরবানি শেষে ইহরাম ত্যাগ করে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা।

প্রসঙ্গত, মিনায় শয়তানকে প্রতীকী পাথর ছোড়ার আনুষ্ঠানিকতা পালনের সময় বিপুল সংখ্যক মানুষের চাপে এর আগেও পদদলনের ঘটনা ঘটেছে। ২০০৬ সালে পদদলনের ঘটনায় ৩৪৫ হাজির মৃত্যু হয়।