Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
hajj 1সৌদি আরবের মক্কা নগরীর মিনায় শয়তানকে পাথর মারার সময় পদদলিত হয়ে সাত শতাধিক নিহতের মধ্যে একজন বাংলাদেশি মহিলা রয়েছেন বলে জানা গেছে। ওই মহিলার নাম ফিরোজা বেগম। তার বাড়ি জামালপুরে। তিনি তার ছেলের সঙ্গে হজে গিয়েছিলেন। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের কন্স্যুলেটর জেনারেল একে এম শহিদুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতালে আহত হাজির সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে নিহতেরও সংখ্যা। তবে এ ব্যাপারে প্রকৃত তথ্য দেবে সৌদি সরকার।
সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়ে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বলেছেন, তবে তাঁদের সংখ্যা কত, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি তাঁরা। কেউ নিহত হয়েছেন কি না, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস খোঁজখবর নিচ্ছে। মক্কার হজ মিশন কর্মকর্তারা হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিচ্ছেন।

chardike-ad

সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ টেলিফোনে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়েই আমরা লোক পাঠিয়েছি। তারা হাসপাতালে গেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তাঁর ফেসবুকের পাতায় লিখেছেন, ‘মিনা হাসপাতালে অবস্থান করা আমাদের এক কর্মকর্তার মতে, মৃতদেহগুলো হাসপাতালে আনা হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ কাউকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য দেওয়া মাত্রই আমরা স্বজনদের তা জানাব। মিনাতে আমাদের হটলাইন নাম্বার হচ্ছে: +৯৬৬৫৩৭৩৭৫৮৫৯ এবং +৯৬৬৫০৯৩৬০০৮২।’

এদিকে, এই হতাহতের খবর পাওয়ার পর থেকে চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন হজ করতে যাওয়া লক্ষাধিক হজযাত্রীর পরিবার ও স্বজনরা। অনেকে সরাসরি তাদের স্বজনদের সঙ্গে ফোনে আলাপ করে নিশ্চিত হচ্ছেন তারা সুস্থ আছেন। আবার অনেকেই স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে উৎকণ্ঠায় আছেন।

এর আগে ক্রেন দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয় এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

প্রসঙ্গত, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিনায় পদদলিত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।