বছর ঘুরে মুসলমানদের জীবনে আবার এল পবিত্র ঈদুল আযহা। আগামীকাল শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর সারা দেশে উদ্যাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা।
হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আযহা পালিত হয়। ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায় ঠিক আগের দিনে চাঁদ দেখা নিয়ে অনিশ্চয়তা নেই। ১০ দিন আগেই ঠিক হয়ে যায় ঈদের দিনক্ষণ। সে অনুসারে পশু কেনা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাওয়াসহ ঈদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে থাকেন সবাই।
ঈদুল আযহা আমাদের দেশের মানুষের কাছে ‘কোরবানির ঈদ’ নামেই পরিচিত। কোরবানির পশু কেনা, তার যত্ন-পরিচর্যাতেই ঈদের মূল প্রস্তুতি ও আনন্দ। ইতিমধ্যে সারা দেশে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।
রাজধানী ঢাকায় ট্রাকে করে কোরবানির গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া এসব আনা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। কোরবানিদাতারা পছন্দের পশুটি কেনার জন্য গাবতলীর প্রধান হাটসহ সুবিধামতো বিভিন্ন হাটে যাচ্ছেন।
এই ঈদে পশু কোরবানিই প্রধান ইবাদত। ঈদের জামাত আদায় করে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন কোরবানির জন্য। ঈদের জামাতে ব্যক্তি, সমাজ, দেশ, মুসলিম উম্মাহ এবং সারা বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হবে।
এদিকে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, ঈদুল আজহার ত্যাগের আদর্শ ব্যক্তি ও সমাজজীবনে প্রতিফলিত হলে পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ কমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে ধর্মকে ব্যবহার করে কেউ যেন ফায়দা লুটতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে ঈদুল আজহার তাৎপর্য অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে জনকল্যাণকর কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিভেদ-বৈষম্যহীন সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ গড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন তার বাণীতে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।