Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ratulসোনার হরিণের আশায় সিঙ্গাপুরে এসেছিলেন রাতুল। সোনার হরিণ আর ধরা হয়নি। কর্মক্ষেত্রে কংক্রিটের স্লাব তার উপর এসে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাংলাদেশি এই যুবক।

পুরো নাম রাতুল দেওয়ান। পিতা জামাল দেওয়ান। মাত্র তেইশ বছর বয়সেই বিদায়। কাজ করতেন ইয়ং জিং নামক একটি নির্মাণ কোম্পানিতে।

chardike-ad

গত শনিবার মাটি কাটার কাজের সময় মাথার উপর ভেঙে পড়ে টানেলের কংক্রিটের স্লাব। পাইওনিয়র রোডের সান ভিউ ওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ সেন্টারের কর্ণধার এ কে এম মোহসিন জানান, রাতুল এই কোম্পানিতে মাত্র এক মাস আগে এসেছিলেন। তিনি অবিবাহিত। তিন সন্তানের মধ্যে তিনিই ছিলেন বাবার বড় সন্তান। গত রবিবার তার মরদেহ চলে গেছে দেশে।

শনিবারের দুর্ঘটনার পর বিষয়টি মিনিস্ট্রি অফ ম্যান পাওয়ারকে অবহিত করা হয়। নিরাপত্তা অধিদপ্তর বা অকোপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ ইন্সপেক্টর সরেজমিনে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স এস সি ডি এফ জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর রাত নয়টায় খবর পায়। রাতুলের সাথে আহত দুইজনকে তারা হাসপাতালে ভর্তি করে।

মিনস্ট্রি অফ ম্যান পাওয়ার এম ও এম কাজের সাইট এখনও বন্ধ রেখেছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

সিঙ্গাপুর স্ট্রেইট টাইমসহ বিভিন্ন পত্রিকায় গুরুত্বের সাথে সংবাদটি ছাপা হয়। শ্রমজীবী অধিবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে রাতুলের মৃত্যু বয়ে এনেছে শোকের ছায়া।

পরিবারের কপালে রাজটিকা পরাতে না পারলেও একটু সুখের ছোঁয়া দিতে চেয়েছিলেন রাতুল। পারলেন না। ডেথ সার্টিফিকেটের ওপর স্ট্যাম্প করা এক্সপোর্ট লেখা বুকে নিয়ে ফিরলেন বাংলার মাটিতে।