ইসলাম ধর্মের অনুসারী লাখ লাখ মানুষ পবিত্র হজ পালনের জন্য অবস্থান করছেন সৌদি আরবে। বাংলাদেশ থেকেও এবার হজে অংশ নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। শোবিজের তারকারাও পিছিয়ে নেই এই মহান কাজে।
তালিকায় রয়েছেন শোবিজ জগতের জনপ্রিয় মুখ তাহসান রহমান খানের নামও। চলতি মাসের ২ তারিখ মাকে সাথে নিয়ে সৌদি আরবে গেছেন তিনি। তাহসান ও তাঁর মা মক্কা ও মদিনায় সব মিলিয়ে ২৭ দিন অবস্থান করবেন। হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরবেন তাহসান। জনপ্রিয় এই সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ।
হজের বিষয়টি খুব বেশি প্রচার পাক সেটাও তিনি চাননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। সামর্থ্যবান সব মুসলমানের জন্য হজ পালন করা বাধ্যতামূলক। নামাজ, রোজা পালনের সময় যেমন আমি কাউকে বলে করি না, হজের বিষয়টাকেও আমি সেভাবেই দেখি। এটা আমার দায়িত্ব, এটি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই হজটা আমি একটু গোপনে করতে চেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রজীবন শেষ করার পরই আমি হজ পালনের সামর্থ অর্জন করি। কিন্ত নানা কারণে সময় করতে পারছিলাম না। এদিকে আম্মারও বয়স হয়ে যাচ্ছিল। তাই এবার সিদ্ধান্তটা পাকাপোক্ত করে হজ করতে চলে আসা।’
তাহসান বলেন, ‘মিডিয়া কর্মীদের প্রতি মানুষের একটি নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। ধরেই নেয়া হয় তারা ধর্ম পালনের প্রতি উদাসীন। কিন্ত আমি বিষয়টাকে দেখি অন্যভাবে, প্রত্যেক মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করবেন। আমি আমার ধর্মের প্রতি কতটুকু আস্থাশীল, সেটা আমিই ভালো উপলব্ধি করি। আমার মনে হয় কোনো বিষয়েই অন্যকে দোষারূপ করার আগে নিজের বিষয়টি প্রত্যেকের ভাবা উচিত।’
তাহসানের শোবিজে আর্বিভাব সঙ্গীতের মাধ্যমে। ছায়ানট থেকে ছয় বছর রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন। ১৯৯৮ সালে তিনি ও আরো কয়েকজন যুবক মিলে গঠন করেন ব্যান্ডদল ব্ল্যাক, পরে তিনি ব্যন্ড দল থেকে আলাদা হয়ে নিজস্ব ধারার গানে সম্পৃক্ত হন।
বিয়ের পর স্ত্রী মিথিলাকে নিয়ে বের করেন নিজস্ব অ্যালবাম। ২০১২ সালে তাহসান গঠন করেন তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ নামে নতুন একটি ব্যান্ড। বাংলামোটরে ‘ক্রীতদাসের আবাসে’ নামে তার নিজস্ব স্টুডিও রয়েছে।
গান গাইতে গাইতেই নাটকে প্রবেশ তার। বিশেষ দিবস মানেই এখন তার নাটক। যদিও এবার হজের প্রস্তুতির কারণে খুব বেশি নাটকে কাজ করা হয়নি তার। তাই এবারের ঈদে হাতেগোনা কয়েকটি নাটকে দেখা যাবে তাকে।