সিনেমার শ্যূটিং শেষ করে নিজের অফিসে ঢোকার পর বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক আসিফের গাড়িতে ইয়াবা পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরের এমন ঘটনায় পুলিশ কিছু ইয়াবাসহ কণ্ঠশিল্পী আসিফের ড্রাইভারকে আটক করেছে বলে আসিফ তার ফেসবুকে স্টেটাস দিয়ে জানিয়েছেন। ঘটনাটি কিভাবে ঘটলো তার সমস্ত বিবরণ আসিফ ওই স্টেটাসের মাধ্যমে জানিয়েছেন। পাঠকদের সুবিধার জন্য আসিফের স্টেটাসটি নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলো
‘সিনেমার শ্যূটিং শেষে ষ্টুডিও থেকে ATN বাংলার প্রশাসনিক ভবনে গেলাম। ওখান থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে নীচে নেমে এসে গাড়ীতে উঠলাম। ষ্টুডিও লাইট এবং প্রচন্ড গরমে দূর্বল লাগছিলো, গত কয়েক দিনের টানা রেকর্ডিংয়ে আমি ক্লান্ত। জ্যামের ভয়ে বাসায় না গিয়ে অফিসে চলে গেলাম। লাঞ্চ সেরে একটু রেষ্ট নেবো, হঠাৎ মইনুল এসে বলে র্যাব, ডিবি পুলিশ নীচে, গাড়ীর চাবি দিচ্ছেনা।
নীচে নেমে দেখি আমার ড্রাইভার হাতকড়া পরিহিত, র্যাব-২ এবং গোয়েন্দা পুলিশ ইয়াবা গুনছে। ঘটনাটা মেলাতে পারছিলাম না,অফিসার জানালেন আমার ড্রাইভার ইয়াবা সেবন করে, পাশাপাশি ব্যবসাও করে। গত তিন /চার দিন ধরে তাকে তারা নজরদারীতে রেখেছে এবং চৌকষ গোয়েন্দাদের একটি দল ক্রেতা হিসেবে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলো। ড্রাইভারের সাম্প্রতিক গতিবিধি সন্দেহজনক আমার কাছেও মনে হয়েছে, এটা বাসায় ও অফিসে আগেই জানিয়েছি।
ATN এর বাইরে কারওয়ান বাজারের মত জায়গায় র্যাব-২ এবং ডিবি পুলিশ আমাকে ধরতে পারতো। তারা নিশ্চিত হয়েছে আমি এটার সঙ্গে জড়িত নই। সেজন্যে আমি অফিসে ঢোকার অন্ততঃ চল্লিশ মিনিট পরে তারা ড্রাইভারকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। ইচ্ছে করলেই অফিসার আমাকে ফাঁসিয়ে দিতে পারতেন, ক্রেডিট নিতে পারতেন,আজকে পত্রিকার নিউজগুলো হতো অন্যরকম।
এর মধ্যে কিছু পথসাংবাদিক জুটে গেলো,তারা গরম খবরের আশায় আমাকে বারবার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত করার সাধ্যাতীত চেষ্টা চালিয়েছে,কিন্তু সামনে আসার মুরোদ নেই, তাদের রংও আমার জানা নেই। আমার নিজের ফ্যান পেজই একটি বিশাল পত্রিকা,আমার খবর আমিই দিবো। তোমাদের জন্য দূঃখ লাগছে,ধান্দাটা ঠিক জমলোনা।
দশ বছর ধরে ড্রাইভারকে নিজের সন্তানের মতই দেখেছি, অথচ আমার মানসম্মান বিবেচনায় না রেখে সে জড়িয়ে পড়লো ভয়ঙ্কর ইয়াবা চক্রে। বিশ্বাসের নদীগুলো আস্তে আস্তে ড্রেনে রূপান্তরিত হয়েছে। এতোদিন হৃদয় দিয়ে ভেবেছি,এখন মাথা দিয়ে ভাববো।
Thank You Officer And Troop’s……….’
ফেসবুক থেকে সরাসরিঃ
সিনেমার শ্যূটিং শেষে ষ্টুডিও থেকে ATN বাংলার প্রশাসনিক ভবনে গেলাম। ওখান থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করে নীচে নেমে এসে গাড়ীতে উঠ…
Posted by ASIF on Tuesday, 15 September 2015