ভবিষ্যতে যে কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক তথ্যের ভিত্তিতে নেয়া হবে বলে বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হচ্ছে প্রত্যাশিত হারে। তাই এ মুহূর্তে আর সুদের হার কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। খবর রয়টার্স।
ব্যাংক অব কোরিয়ার সাত সদস্যের নীতি নির্ধারণী কমিটি সুদের হার দেড় শতাংশ রেখেছে। জুনে সুদের হার কমানোর পর তা অপরিবর্তিত রয়েছে তিন মাস ধরে। তবে এখন দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ। তাদের নজর এখন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) আসন্ন নীতিনির্ধারনী বৈঠকের ওপর। ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর ফেডের বৈঠকের ওপর নির্ভর করবে পরবর্তী পদক্ষেপ। ব্যাংক অব কোরিয়ার গর্ভনর লি জু-ইয়েয়োল বলছেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। এ হারে অর্থনীতি না বাড়লে পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অনেক বিশেষজ্ঞ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবৃদ্ধি দুই শতাংশের সামান্য বেশি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন। তবে লি এ পূর্বাভাসকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ফেড এ বছর সুদের হার বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে বলে আশাবাদী লি। তবে কোন মাস থেকে বাড়ানো হতে পারে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান মুদ্রানীতি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ব্যাংক ঋণের হার ও দীর্ঘমেয়াদি বন্ডের মান কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একথা জানান লি। প্রতি তিন মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস পুর্নবিবেচনা করে থাকে। আবারো ১৫ অক্টোবর নীতিনির্ধারনী বৈঠকের পর পূর্বাভাসে প্রয়োজনের সাপেক্ষে পরিবর্তন আনা হতে পারে।
চীনের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও দক্ষিণ কোরিয়ার নীতিনির্ধারকরা বিপদে পড়েছেন। এ দেশটির সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি ব্যবসায়িক লেনদেন করে দক্ষিণ কোরিয়া। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানির এক-চতুর্থাংশই হয় চীনে।