নিম্ন অাদালতে বিচারক নিয়োগে চলছে দীর্ঘ প্রক্রিয়া,যা এক দিকে যেমনি ব্যাহত করছে বিচার সহজলভ্যতাকে, অন্যদিকে হতাশ করে চলেছে নিয়োগ প্রত্যাশী মেধাবীদের। ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর নিম্ন অাদালতে বিচারক নিয়োগের দায়িত্ব ‘জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন’ এর অাওতায় চলে যায়, যা অাগে ছিল পিএসসি অধীন।
অালাদা সার্ভিস কমিশনের অাওতায় হওয়া সত্বেও নিয়োগে প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা যায়নি। সর্বশেষ অষ্টম জুডিশিয়ারি পরীহ্মার ভাইভার ফলাফল দিলেও পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের কারণে নিয়োগ চুড়ান্ত হয়নি ৫৩ জন উত্তীর্ণ শিহ্মার্থীর। অথচ ৮ম জুডিশিয়ারির সার্কুলার হয়েছিল ১৩ মে ২০১৩ তে। অন্যদিকে, নবম জুডিশিয়ারির পরীহ্মার সার্কুলার হয় ১০ এপ্রিল ২০১৪ তে। যেটার প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীহ্মা হয় যথাক্রমে ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ও ১০ এপ্রিল ২০১৫ তে। যার লিখিত পরীহ্মার রেজাল্ট এখনো অাটকে অাছে। যেখানে ৬০ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা রয়েছে। যদিও নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ঠিক দেড় বছর অাগে। যা নিয়োগ প্রার্থীদের জন্য খুব পিড়াদায়ক হয়ে দাড়িঁয়েছে।
উল্লেখ্য, অাইন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী নিম্ন অাদালতে ৩১ লাখ মামলা জটে অাটকা রয়েছে। যার মূল কারণ বিচারক সংকট। মাএ ১৬০০ টি পোষ্ট দিয়ে চলছে নিম্ন অাদালত। যার মধ্যে ৪০০ টি খালিই পড়ে অাছে। ১৯৩ টি অল্প সময়ের ব্যবধানে খালি হওয়ার পথে।
যেখানে অামাদের প্রতিবেশী ভারতে প্রতি ৬৭ হাজার মানুষের জন্য ১ জন বিচারক সেখানে অামাদের প্রতি ১৪৩০০০ হাজার মানুষের জন্য ১ জন। যা অামেরিকাতে প্রতি ১০ হাজারের জন্য অনুপাতে ১ জন। ভারত ও তাদের অনুপাত টা ২০ হাজার প্রতি ১ জনে অানার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তাই এই বছরের শুরিতে অাইন কমিশন সরকার কে ২৪০০ বিচারক নিয়োগের সুপারিশ করে। যার ভিত্তিতে সরকার ৪৭৮ জন বিচারক নিয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।
অথচ, চলমান নিয়োগ নিজেই জটে পড়ে অাছে। যার সমাধান অতি জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
লেখকঃ মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ, শিহ্মানবিশ অাইনজীবি (ঢাকা জজ কোর্ট)