Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

latif-siddikiবহু জল্পনা-কল্পনা শেষে পদত্যাগ করলেন সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরুর পর সন্ধ্যায় তিনি সংসদে এক আবেগঘন বক্তব্যের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এসময় তিনি বলেন, তার পদত্যাগপত্র স্পিকারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর সংসদের কক্ষ থেকে তিনি বেরিয়ে যান।

chardike-ad

সংসদ সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই আজ সংসদে আসেন টাঙ্গাইল-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য। স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বক্তৃতা দেন তিনি। এ সময় হজ নিয়ে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন তিনি। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। পদত্যাগপত্রটি অধিবেশনে পড়বেন কি না তা জানতে চাইলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, তার প্রয়োজন নেই।

মাগরিবের নামাজের বিরতির পর অধিবেশন কক্ষে ঢোকেন লতিফ সিদ্দিকী। সামনের সারিতে নিজের আসনে বসেন তিনি। লতিফ সিদ্দিকী অধিবেশন কক্ষে ঢোকার সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন না। লতিফ সিদ্দিকী ঢোকার সময় বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিপক্ষে বক্তব্য রাখছিলেন। প্রথমে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়ানোর জন্য স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও সাড়া পাননি লতিফ সিদ্দিকী। এরপর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় সদস্য, আপনি একটু পরে কথা বলেন।’ এর কিছুক্ষণ পর স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বক্তব্য শুরু করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বহিষ্কৃত এই সদস্য। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিনের অফিসে গিয়ে দেখা করেন লতিফ সিদ্দিকী।

প্রসংত, গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় মন্ত্রিসভা ও নিজ দল আওয়ামী লীগ থেকে অপসারিত হন লতিফ সিদ্দিকী।