অচিরেই সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরের উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে আইসিসি। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার প্রহর গুণছেন পাকিস্তানের এই তিন ক্রিকেটার। তবে তাদের আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে দেওয়া উচিৎ হবে কিনা, এ নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা ও বিতর্ক।
কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘ ম্যাচ পাতানোর দায়ে শাস্তি ভোগ করার পর এই ত্রয়ীকে দলে নেওয়ার মানে সৎ ক্রিকেটারদের হেয় করা।
মিয়াঁদাদের পর এবার এ দলে যোগ দিলেন পাকিস্তানের টি-২০ অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। ‘বুমবুম’ আফ্রিদি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) বলেছেন, বাট, আসিফ ও আমিরকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাদের ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্তই ভেবে-চিন্তে নিতে হবে। তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটি পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য ক্ষতিকর হবে। এর সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট ও ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের স্বার্থ জড়িত।’
আফ্রিদি বলেন, বাট, আসিফ ও আমিরের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেটকে অনেক কাঠখড় পুড়াতে হয়েছে। এই ধাক্কা সামলে স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লেগেছে। তাই এই তিন ক্রিকেটারের ফিরে আসাটা খুব সুখকর হবে না দলের জন্য।
এদিকে, বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানের বর্তমান দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই এই ত্রয়ীর ফিরে আসাটা ভালো চোখে দেখছেন না। বাট, আসিফ ও আমিরের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগির বিষয়টিতেই মূলত অনীহা সবার।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের আলোচিত সেই ইংল্যান্ড সিরিজে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক প্রথমে ছিলেন আফ্রিদি। প্রথম টেস্টের পর তাকে নিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে ওই পদ থেকে সরে দাঁড়ান এই অলরাউন্ডার। এরপরই দলের দায়িত্ব পান সালমান বাট। বাটের নেতৃত্বেই লর্ডসে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে বিশ্বকে চমকে দেয় স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি।
এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই বাট, আসিফ, আমিরকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। অভিযুক্ত বাটকে সাত মাস, আসিফকে ছয় মাস ও আমিরকে তিন মাস ইংল্যান্ডে জেলও খাটতে হয়। অবশেষে তাদের উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামী ২ সেপ্টেম্বর।