সাম্য-মানবতা আর প্রেমের কবি, বিদ্রোহের তূর্যবাদক বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের আজকের এই দিনে (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সারা দেশে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধি আজ ছেয়ে গেছে ফুলে ফুলে।
ঔপনিবেশিক ও ছদ্ম-ঔপনিবেশিক পরাধীনতার কালে আমাদের দ্রোহে-দাবিতে স্বর সংযোজন করেছিল তার কবিতা, ছন্দ। সব অনাচারের বিরুদ্ধে আজীবন সোচ্চার ছিল তার লেখনী। কূপমণ্ডূকতা, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও সমান সরব ছিলেন কবি। চরম দারিদ্র্যে দিনাতিপাত করে, নির্যাতন-নিপীড়ন সয়েও নজরুল শিখিয়েছেন আপসহীন লড়াইয়ের উদ্ধত, গর্বিত মন্ত্র।
লেটো দলের বাদক, রেলগার্ডের খানসামা, রুটির দোকানের কর্মচারী, সৈনিক, সাংবাদিক, বেতারকর্মী— জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে এমনতরো নানা ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বর্ণাঢ্য চরিত্র নজরুল। স্বকীয়তা ও স্বাধীনতার প্রতি তার দ্বিধাহীন অঙ্গীকার অনাদিকাল ধরে আমাদের চেতনায় ভাস্বর হয়ে থাকবে।