Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

soudiচলতি বছরে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে ১৭৫ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসেব মতে প্রতি দুই দিনে একজনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। জুনের মধ্যে প্রথম ছয় মাসেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০২ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়। এভাবে চলতে থাকলে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। সৌদি রাষ্ট্রের ইতিহাসে ১৯৯৫ সালেই সবচেয়ে বেশি- সর্বমোট ১৯২ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল। সৌদি আরবে এমনকি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ বছরের নিচের শিশু এবং শারীরিকভাবে পঙ্গুরাও শিরশ্ছেদের হাত থেকে রেহাই পায় না।

অ্যামনেস্টির তথ্য মতে, গত বছরের আগস্ট মাস থেকেই সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার হার বাড়তে থাকে। এরপর নতুন রাজা সালমানের অধীনে চলতি বছরের জানুয়ারি থেক এতে আরো উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে।

chardike-ad

আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত অ্যামনেস্টির ৪৪ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১৯৮৫ সালের জানুয়ারি থেকে সৌদি আরবে ২ হাজার ২০৮ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। এদের ৪৮.৫ শতাংশই ছিল আবার বিদেশি নাগরিক।

১৯৯১ সাল থেকে কার্যকর হওয়া মৃত্যুদণ্ডগুলোর ২৮ শতাংশই দেওয়া হয়েছিল মাদকসংক্রান্ত অপরাধ, ব্যাভিচার, ধর্মদ্রোহীতা, যাদু-টোনা ও ডাকিনীবিদ্যা চর্চার অপরাধে। এর অনেকগুলোই হয়তো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কোনো অপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে না। অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য শাখার পরিচালক বৌমেদৌহা বলেন, সৌদি আরবে যে বিচার পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের নিরিখে তা গভীর ত্রুটিপূর্ণ।

এছাড়া দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ ও ১৮ বছরের কম বয়সীদের এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরও মৃত্যুদণ্ড প্রদানের মতো নিষ্ঠুর প্রথা প্রচলিত রয়েছে।

গত বছরের ২৭ মে জেদ্দার একটি আদালত আলী মোহাম্মদ বাকির আল নিমর নামের ১৬-১৭ বছর বয়সী এক শিশুকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তার বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা এবং সশস্ত্র ডাকাতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু মূলত স্বীকারোক্তির উপর ভিত্তি করেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আর নির্যাতনের মাধ্যমেই ওই স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় বলে দাবি অ্যামনেস্টির।