বসবাস করার জন্য পাঁচটি সেরা শহর বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’৷ তবে সেরা পাঁচে এশিয়ার একটা শহরও নেই! দেখুন কোন শহরগুলো পেয়েছে বসবাসের জন্য সেরার স্বীকৃতি।
সেরা মেলবোর্ন
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী মেলবোর্ন সত্যিই অসাধারণ এক শহর। দ্য ইকোনমিস্ট ব়্যাঙ্কিংয়ে ৯৭ দশমিক ৫ পয়েন্ট দিয়ে সবার ওপরে রেখেছে মেলবোর্নকেই। দেখার মতো অনেক কিছুই আছে এ শহরে। ফেডারেশন স্কয়্যার, রয়্যাল বোটানিকেল গার্ডেন, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, ইউরেকা টাওয়ার, এমনকি এখানকার চিড়িয়াখানায় গেলেও আপনি মুগ্ধ হবেন।
একটু পিছিয়ে ভিয়েনা
মেলবোর্নের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে ভিয়েনা। অস্ট্রিয়ার রাজধানী শহরটি পেয়েছে ৯৭ দশমিক ৪ ভাগ ব়্যাঙ্কিং ভোট। সেখানে গেলে কিন্তু হোফবুর্গ, স্প্যানিশ রাইডিং স্কুল, স্টিফেন্স ক্যাথেড্রাল এবং শহরের বিখ্যাত প্রাসাদ দেখে আসতে ভুলবেন না! এছাড়া এ শহরের ক্যাফেগুলো অসাধারণ। আর পায়ে ব্যাথা থাকলে ঘোড়ায় চড়েই দেখে নিতে পারেন মোৎসার্তের এই শহর।
কানাডার ভ্যানকুভার
বন্দর নগরী ভ্যানকুভার। ব়্যাঙ্কিংয়ে পয়েন্টের দিক থেকে কানাডার এই শহরও সেরা হওয়া মেলবোর্নের খুব কাছে। ৯৭ দশমিক ৩ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় হয়েছে ভ্যানকুভার। এ শহরে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণের তালিকায় সবসময় স্ট্যানলি পার্ক, গ্র্যানভিল দ্বীপ, কিটসিলানো বিচ, গ্রাউস মাউন্টেন, চায়না টাউন, কানাডা প্যালেসের মতো কিছু নয়নাভিরাম স্থান থাকেই।
কানাডার আরেক শহর
কানাডায় যাবেন, রাজধানী টরন্টো দেখবেন না, তা হয়? ইকোনমিস্টের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মেলবোর্ন, ভিয়েনা বা ভ্যানকুভারের চেয়ে টরন্টোও শান্তিতে বসবাসের জন্য কোনো অংশে কম উপযোগী নয়। তাই ৯৭ দশমিক ২ পয়েন্ট পেয়েছে টরন্টো। এ শহর যারা একবার ভালো করে ঘুরে দেখেছেন, তারা ন্যাশনাল টাওয়ার, সিটি হল, ইয়ঙ্গে-ডুন্ডাস স্কয়্যার, সেন্ট মাইকেল ক্যাথেড্রালের মতো জায়গাগুলোর কথা কোনোদিন ভুলতে পারবেন না।
এবং অ্যাডিলেড
তালিকাটি শেষ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ারই আরেক শহর অ্যাডিলেডকে দিয়ে। অ্যাডিলেড পেয়েছে ৯৬ দশমিক ৬ পয়েন্ট। সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্যের রাজধানী অ্যাডিলেড অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম বৃহত্তম শহর। তবে শুধু আয়তনের জন্যই নয়, সৌন্দর্যের জন্যও শহরটি খুব উল্লেখযোগ্য। এ শহরে আর্ট গ্যালারি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়া, সাউথ অস্ট্রেলিয়া মিউজিয়াম, গ্লেনলেগ গ্রাম, ফেস্টিভ্যাল সেন্টারের মতো অনেক জায়গা আছে, যেসব দেখে না এলে পস্তাতে হয়।