দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবীতে আন্দোলনে নেমে ঐতিহাসিক মে দিবসের জন্ম দিয়েছিলেন মার্কিন শ্রমিকরা। বিশ্বজুড়ে সরকারি-বেসরকারি চাকুরিতে এখন স্বীকৃত কাজের সময় ওই আট ঘন্টাই। তবে কাজের বাড়তি চাপ, ওভারটাইম বোনাস কিংবা স্রেফ বসকে খুশী করতে অনেকেই নির্ধারিত অফিস টাইমের বাইরেও খেঁটে যান হররোজ। ‘শরীরের নাম মহাশয়/ যাহা সহাবেন তাহাই সয়’ এমন নীতি মেনে যারা কাজের ক্ষেত্রে কোন সময়জ্ঞানের ধার ধারছেন না তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে একটি গবেষণার ফল। দীর্ঘ সমীক্ষার ওপর প্রণীত ওই গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, দৈনিক আট ঘণ্টার বেশী কাজ হৃদরোগের ঝুঁকিসহ বাড়িয়ে দেয় মৃত্যুর সম্ভাবনা।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের জনৈক অধ্যাপক ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ৬ লক্ষাধিক মানুষের উপর এ গবেষণা চালান। ঘণ্টার নিরিখে কতোটা সময় কাজ করলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তাই জানার চেষ্টা করা হয়েছিল ওই গবেষণায়। দীর্ঘ ন’ বছর ধরে চালানো ২৫টি সমীক্ষার সম্মিলিত ফলে দেখা যায় যে যারা সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তারও বেশী সময় কাজ করেন এমন লোকদের মধ্যে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার (সাপ্তাহিক ৩৫-৪০ ঘণ্টা) মধ্যে যারা কাজ করেন তাঁদের থেকে স্ট্রোকের এই ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ বেশী হয়। একইসাথে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায় ১৩ শতাংশ।