রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনে ফের অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময়ে ২২ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থ দন্ড দেয়া হয়। এর আগে বহুবার র্যাব অভিযান চালিয়ে দালালদের গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিলেও থামছে না দাতের দৌরাত্য।
মজার ব্যাপার হচ্ছে দন্ড শেষ করে, জামিনের ছাড়া পেয়ে আবার তারা আগের কাজে নিয়োজিত হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এভাবে পাসপোর্ট অফিস থেকে দালাল চক্র উচ্ছেদ করা যাবে না।
পাসপোর্ট অফিসের এক শ্রেণির দুর্নীতি বাজ কর্মকর্তারা এর সঙ্গে জড়িত। তাদের ইন্দনে বা যোগসাজসে দালালরা তাদের কাজ চালিয়ে যায়। র্যাবের অভিযানের পর দুই/চার দিন ভালো থাকলেও আবার ঠিক আগের অবস্থানে চলে আসে।
বৃহস্পতিবার র্যাবের ভ্রাম্যমাণ টিম যেকজনকে দ- দেয় তার হলেন- মো. মিসবাউল হক (২৯), মো. লিটন (৪৪), মো. জিন্নাত ফরাজী (৩০), মো. আক্তার হোসেন (৫০), মো. আক্তার হোসেন (৫০), বিশ্বনাথ বসু (৪৮), মো. আকবর হোসেন (৬৯), মো. রফিকুল ইসলাম বাবু (২৫), মো. ছাদেক (২১), মো. হাসান (২৫), মো. আক্তার হোসেন (৩২), মো. নবী হোসেন (২৬), মো. জাহিদ হোসেন (২৩), মো. রাজীব (২৭), মো. হাসিব উদ্দিন (২২), মো. বাবুল (৬৫), মো. শফিকুল ইসলাম (৫৭), মো. মনির (৫২), মো. সোহেল (১৮), মো. রাকিব হোসেন (২১), মো. জাহিদ হোসেন স্বপন (২৩), মো. মানিক শিকদার (২৮), মো. সমুন (২৫)।
এদের মধ্যে সাতজনের চার মাসের কারদ-, সাত জনের এক মাসের, তিনজনকে ১০ দিনের ও বাকিদের সাত দিনের কারাদ- অনাদায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় এ অভিযান পরিচালিত হয়। র্যাবের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন ভ্রাম্যমান আদালতের পরিচালনা করেন।
র্যাব সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালে একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনে ও পার্শ্ববর্তী সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার লাইনে দাড়ানো পাসপোর্ট প্রার্থীদের প্রলুব্ধ ও বিরক্ত করছিল।
পাসপোর্ট করতে যাওয়া লোকজনকে নানাভাবে উত্যক্ত করছিল দালালরা। অল্প সময়ে পাসপোর্ট করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তাদের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়, কখনো কখনো অনেক হয়রানির পর পাসপোর্ট প্রদান ও অনেক সময় পাসপোর্ট প্রদান না করে প্রতারনা করে আসছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় র্যাব-২ এর একটি বিশেষ দল এই অভিযান চালায়। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন আসামিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে জেল ও জরিমানা করেন।