ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ছে। গত জুলাই মাসে এক লাখ সাত হাজারের বেশি আশ্রয়প্রার্থীকে প্রবেশাধিকার দিয়েছে ইউরোপ। যা গত জুন মাসের চেয়ে প্রায় ৪০ হাজার বেশি।
ইইউর সীমান্তরক্ষা এজেন্সি ফ্রন্টেক্স জানিয়েছে, এটি একটি জরুরি অবস্থা। তাই অভিবাসীদের সহায়তা করতে ইউরোপের দেশগুলোর কাছে তারা সাহায্যও চেয়েছে।
ইউরোপে যাওয়ার অনিয়মিত রাস্তাগুলো ধরে স্রোতের মতন প্রবেশ করছে অভিবাসী। আর প্রতিদিনই সেখানে অভিবাসীর চাপ বাড়ছে। ফলে, গত কয়েকমাসে অভিবাসী প্রবেশের নতুন নতুন রেকর্ড হয়েছে।
ফ্রন্টেক্সের হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাইয়ে এক লাখ সাড়ে সাত হাজার অভিবাসী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্থান পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, একই মাসে এতো অভিবাসী এর আগে আর কখনও ইউরোপে প্রবেশ করেনি।
আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঠাঁই পেয়েছে জার্মানিতে। ২০১৫ সালে সাড়ে চার লাখ অভিবাসীকে প্রবেশাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছিল দেশটি। তবে আশ্রয়প্রার্থীদের ঢল দেখে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে সাড়ে ছয় লাখ মানুষকে প্রবেশাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির সরকার।
উন্নত জীবনের সন্ধানে ইউরোপমুখী মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপ। অভিবাসীদের চাপ সামাল দেওয়ার বিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবারে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
কাঙ্ক্ষিত জীবনের খোঁজে ইউরোপের দিকে ছুটতে থাকা অতিরিক্ত মানুষকে ভাগাভাগি করে আশ্রয় দিতে ইউরোপের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার এন্টোনিও গুটেরেস।
যুদ্ধ থেকে পালাতে অথবা দারিদ্র্য থেকে বাঁচতে সিরিয়া, আফগানিস্তান এবং সাহারা অঞ্চলের আফ্রিকার দেশগুলো থেকেই এইসব অভিবাসী আসছে।