Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

marriage‘বাজবে বিয়ের সানাই, বর আসবে পালকি চড়ে’- এমনটাই আশা ছিলো সকলের। এর মধ্যে বিয়ের দাওয়াত কার্ড বিলি করাও শেষ বর ও কনেপক্ষের। এমনকি বিয়ের জন্য কমিউনিটি সেন্টার ভাড়াও শেষ। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি! কিন্তু কিসে কী? সব আয়োজন যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। আর বিয়ের পিঁড়িতে বসা হয়নি কক্সবাজার জেলা ছাত্রদল সভাপতি রাশেদুল হক রাসেলর।

ছাত্রদল সভাপতি রাসেলের হবু স্ত্রী নিলুফা মনিকে নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগ নেতা আরমান। সোমবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আর এ নিয়ে বেশ শোরগোল পড়েছে গোটা শহর জুড়ে।

chardike-ad

কনেপক্ষের সংশ্লিষ্ট ঘনিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, ২ মাস আগে জেলা ছাত্রদল সভাপতি রাশেদুল হক রাসেলের সাথে কক্সবাজার শহরের মধ্যম নুনিয়া ছড়ার আবদুল কাদেরের কন্যা নিলুফা মনির কাবিন ও আকদ সম্পন্ন হয়।

আগামী ১৩ আগস্ট জেলা শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্টে অবস্থিত বিয়াম ফাউন্ডেশনের অডিটরিয়ামে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার দিন ধার্য ছিলো। সে হিসেবে বিয়ের দাওয়াত দিয়ে চিঠিও বিলি করা হয় বেশ কিছু দিন আগে থেকেই। কিন্তু হঠাৎ করেই সোমবার ভোররাতে পুরনো প্রেমিক শহরের বইল্ল্যাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগ নেতা আরমানের হাত ধরে উধাও হয়ে যান নিলুফা।

জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা আরমান শহরের বইল্ল্যাপাড়া এলাকার আরমান ম্যানশনের বাসিন্দা এবং আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মিয়া চৌধুরীর নাতি (মেয়ের ছেলে)।

এদিকে, সোমবার ভোররাতে পুরনো প্রেমিক আরমানের হাত ধরে নিলুফা উধাও হওয়ার পর থেকে উভয় পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পাননি।

অপরদিকে, নিলুফা মনির পরিবারও এ বিষয়ে চুপ। তারা কোনো কিছু জানাতে রাজি নয়। এব্যাপারে নিলুফা মনির হবু স্বামী ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল বলেন, ‘ঘটনা জানার পর আমার পরিবারের লোকজন মেয়ের বাড়িতে গেছেন। আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন-নিলুফা বিয়ের দাওয়াত দিতে কার্ড নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলে তাকে অপহরণ করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, এর বেশি কিছু তারা জানায়নি। তবে, আশা করছি- নিলুফার খোঁজ অচিরেই পাওয়া যাবে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবো না।