ছোটবেলা থেকে জেন্ডার ডিস্ফোরিয়ায় ভুগতেন ইংল্যান্ডের গ্রাহাম পাসকো। ৫৪ বছর বয়সে লিঙ্গ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। ইংল্যান্ডের বেসরকারি ক্লিনিকে এই অপারেশনের খরচ প্রায় ৪০ লাখ রুপি। আর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৪ বছর।
এমন নানা বাধার সম্মুখীন হলেও লিঙ্গ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাননি তিনি। বিভিন্ন দেশে এই অপারেশনের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে থাকেন তিনি। অবশেষে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারেন, খুব কম খরচে এই অপারেশন করা যায় ভারতে। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে পাড়ি জমান গ্রাহাম পাসকো। গত ডিসেম্বরে প্রথম অপারেশনের পর ২০১৫ সালের মার্চে দ্বিতীয় অপারেশন হয় তার। অবশেষে সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন তিনি। সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছিল মাত্র ৯ লাখ রুপি। গতকাল রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর মানুষ লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য ভারত সফর করছেন।
এখন পর্যন্ত লিঙ্গ পরিবর্তনের ব্যবসায় এগিয়ে রয়েছে থাইল্যান্ড। সেখানে পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি বড় ব্যবসা ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে লিঙ্গ পরিবর্তনের অস্ত্রপাচার। থাইল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিকে অভিজ্ঞ চিকিত্সকরা দীর্ঘ দিন ধরে এই অপারেশন করছেন। তবে সেখানে খরচটা ভারতের তুলনায় অনেক বেশি। তাই লিঙ্গ পরিবর্তনে ইচ্ছুক পর্যটকদের কাছে পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত।
অপর এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আগামী এক বছরে প্রায় ৩২ কোটি পর্যটক শুধু লিঙ্গ পরিবর্তনের অপারেশন করতেই ভারত ভ্রমণ করতে পারেন। অর্থাৎ লিঙ্গ পরিবর্তনের কেন্দ্র হচ্ছে ভারত।
লিঙ্গ পরিবর্তনের পর প্লাস্টিক সার্জারি অনেকটা জরুরি হয়ে পড়ে। সেই ব্যবস্থাও রয়েছে ভারতে। দেশটিতে প্লাস্টিক সার্জারির জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকেন ডা. পরাগ তেলাঙ্গ, ডা. নরেন্দ্র কৌশিক, ডা. সঞ্জয় পাণ্ডের মতো এমন অনেক চিকিত্সক। তারা জানান, গত কয়েক বছর ধরে প্রচুর বিদেশি নাগরিক ভারতে চিকিত্সা করাতে আসছেন।