Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

pakistaniবলিউড মাতাচ্ছে সালমান খানের বাজরাঙ্গি ভাইজান। একটি ফুটফুটে বোবা ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুকে পাকিস্তানে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়ার কাহিনী নিয়েই এ চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রের ব্যাপক সফলতা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই পাকিস্তানি মানবাধিকারকর্মীরা প্রচারণা শুরু করেছেন।

এই বাজরাঙ্গিদের আশ্রয়ে আছেন ২২-২৩ বছর বয়সী এক তরুণী। তিনিও বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি পাকিস্তানে আছেন। প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার আপনজনদের ব্যাপারেও তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হচ্ছে না। তাই এবার বাজরাঙ্গি স্টাইলে খোঁজ শুরু করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

chardike-ad

করাচিভিত্তিক মানবাধিকার কর্মী বিলকিস এধির আশ্রয়ে আছেন তরুণী। তাকে ডাকা হয় গীতা বলে কারণ আসল নামটিও জানা যায়নি।

পাকিস্তানের সাবেক মানবাধিকার ও বর্তমানের শীর্ষ মানবাধিকার কর্মী মন্ত্রী আনসার বার্নি জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে তিনি ধর্মশালাতে দালাইলামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মেয়েটাকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সাহায্য চাইবেন। আনসারি এও স্বীকার করেন যে, দুই দেশেই বাজরাঙ্গি ভাইজানের ব্যাপার সফলতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তারা এ উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।

গীতা কথা বলতে বা শুনতে না পারলেও নিজেই কিছু সাংকেতিক ভাষা উদ্ভাবন করে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাতে বুঝা যায় তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১২ জন। তার কর্মকাণ্ড দেখে মনে অত্যন্ত ধার্মিক পরিবারে তার জন্ম। সবসময়ই মাথায় ঘোমটা টানা থাকে, নিয়মিত মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করেন, রমজান মাসে অবশ্য অন্য মেয়ের সঙ্গে রোজা থেকেছেন। বেশিরভাগ সময় কাটে এধি ফাউন্ডেশনের অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে।

ধারণা করা যায়, ১৫ বছর আগে গীতা ভারত থেকে ট্রেন যোগে পাকিস্তানের লাহোরে আসেন। প্রথমে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসে।

অবশ্য গীতা হিন্দিতে লিখতে পারে। কিন্তু এধি ফাউন্ডেশনে হিন্দি পড়তে পারার মতো কেউ নেই।