ঢাকা টেস্টে প্রথম দিনের শুরুতেই তামিম ইকবালকে বিদায় করে চারশতম উইকেট শিকার করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডেল স্টেইন।
চার’শ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে মাত্র একটি উইকেট প্রয়োজন ছিল স্টেইনের। ঢাকা টেস্টে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের স্বাদ পেতেন তিনি। কিন্তু তামিমের ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ডিন এলগার। তবে নিজের পরের ওভারে এসেই তামিমকে বিদায় করেন স্টেইন। প্রথম স্লিপে হাশিম আমলার হাতে ধরা পড়েন তামিম। আর তামিমকে ফিরিয়ে টেস্টে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন স্টেইন।
চট্টগ্রাম টেস্টেই অনন্য এই মাইলফক স্পর্শ করতে পারতেন স্টেইন। কিন্তু বৃষ্টিবিঘ্নিত ওই টেস্টে ৩ উইকেটের বেশি নিতে পারেননি ডানহাতি এই গতিদানব। ক্রিকেট ইতিহাসের ১৩তম বোলার হিসেবে চারশ’ বা তার বেশি উইকেট শিকার করলেন স্টেইন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। তার আগে শন পোলক চারশ’ উইকেট নিয়েছিলেন। ক্রিকেট থেকে ২০০৮ সালে অবসর নেওয়া শন পোলক টেস্টে প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২১ উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষেই স্টেইন নিজের শততম উইকেটের স্বাদ নেন। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে নিজের ২০তম টেস্টে জুনায়েদ সিদ্দীককে আউট করে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডানহাতি এই পেসার।
স্টেইন উইকেটের ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নিজের ৩৯তম ম্যাচে। পোর্ট অব স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার সুলেমান বেনের উইকেট নিয়ে ২০০ উইকেট পূরণ করেন স্টেইন। ক্যারিয়ারের ৩০০তম উইকেট নেন ঘরের মাঠ কেপটাউনে। নিউজিল্যান্ডের পেসার ডগ ব্রেসওয়েলের উইকেট নিয়ে ৩০০তম উইকেটের স্বাদ নেন স্টেইন।
স্টেইনের আগে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক পেরিয়েছেন আরো ১২ জন ক্রিকেটার। সবার শীর্ষে শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন। তার শিকার স্টেইনের ডাবল, ৮০০ উইকেট। ৭০৮ উইকেট নিয়েছেন শেন ওয়ার্ন। এরপর যথাক্রমে আছেন অনিল কুম্বলে (৬১৯), গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩), কোর্টনি ওয়ালশ (৫১৯), কপিল দেব (৪৩৪), স্যার রিচার্ড হ্যাডলি (৪৩১), শন পোলক (৪২১), হরভজন সিং (৪১৮), ওয়াসিম আকরাম (৪১৪), জেমস অ্যান্ডারসন (৪০৬), কার্টলি অ্যামব্রোস (৪০৫)।