সৌদি আরবের বখাটেরা সাবধান! এখন থেকে হয়রানি করার চেষ্টা করলে নারীদের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে কুপোকাত হতে পারেন। বিষয়টি একটু অন্যরকম শোনালেও সম্প্রতি দেশটিতে বেড়ে যাওয়া মৌখিক ও শারীরিক লাঞ্ছনা প্রতিরোধে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন নারীরা।
ইস্টার্ন প্রভিন্সের তায়েকান্দো প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক আমানি ইয়াসিন বলেন, সৌদির নারীরা শ্লীলতাহানি ও হয়রানি প্রতিহত করতে তায়েকান্দো প্রশিক্ষণ নিতে আগ্রহী। উপরন্ত তায়েকান্দো শারীরিক ফিটনেস ও পেশির নমনীয়তার জন্য উপকারী। তরুণীদের চাহিদা থাকায় এক বছর ধরে প্রথমবারের মতো এ ইনস্টিটিউট তায়েকান্দো প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
ওই প্রতিষ্ঠানের এক প্রশিক্ষনার্থী বলেন, তায়েকান্দো একটি বুদ্ধিবৃত্তিক ও শারীরিক খেলা। তরুণীদের আত্মরক্ষার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়। এখন কিভাবে নিজেকে রক্ষা করতে হয় তা শিখেছি। আর হয়রানি নিয়ে ভয় পায় না। আমি এটি উপভোগ করছি। আমি মনে করি, প্রত্যেক নারীর আত্ম-প্রতিরক্ষার কোর্সে যোগদান করা উচিত।
অন্য প্রশিক্ষনার্থী বলেন, আমি কর্মক্ষেত্রে ও বাজারে শ্লীলতাহানি ও হয়রানি প্রতিরোধে প্রত্যেক নারীকেই এ খেলা চর্চা করতে উৎসাহিত করব। সৌদিতে আত্মরক্ষার কৌশল না জানা ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে অনেক তরণীই নীরবে হয়রানি সহ্য করে থেকে যায়।
তায়েকান্দো এক ধরণের কোরিয়ান মার্শাল আর্ট। এ খেলায় পারদর্শীরা উচ্চ মানের নৈতিকার অধিকারী হয় বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।
তবে তায়েকান্দো প্রশিক্ষণের বিরোধিতা করে সামাজিক গবেষক মাসোমাহ্ আব্দুল-রেদা বলেন, উচ্চ নৈতিকতা, নম্র পোশাক ও নোংরা স্থান এড়িয়ে চলে নারীরা হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। তায়েকান্দো এর সমাধান নয়। এটি বখাটেদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া এটি আমাদের সমাজ গ্রহণও করে না।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে সৌদি আরবের তায়েফে দুজন বখাটের হাতে এক নারী হয়রানির শিকার হন। এর আগে জেদ্দার কর্নিসি পার্কে এক দল যুবকের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হন দুই তরুণী। এ দুটি ঘটনারই ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র: আরব নিউজ