বিশ্ববাজারে টানা পড়ে চলেছে স্বর্ণের দাম। গত সপ্তাহব্যাপী এই দরপতনের পর পণ্যটির দাম আরও কমতে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে আন্তর্জাতিক পরামর্শদাতা সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাক্স। প্রতিষ্ঠানটির পণ্য রিসার্চ বিভাগের প্রধান বিশেষজ্ঞ Jeffrey R. Currie বলছেন, আগামী কয়েকমাসে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি এক হাজার ডলারের নিচে নেমে আসতে পারে।
আর এমনটি হলে দেশের বাজারেও তার প্রভাব পড়বে। এ হিসেবে (বৃহস্পতিবার) মার্কিন ডলারের বিনিময় হার হিসেবে স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২ হাজার টাকার নিচে চলে আসতে পারে (১ আউন্স= ২.৪৩০৫ ভরি)।
আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতনের কারণে বুধবার বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারেও বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণের দাম কমায়। ভরিপ্রতি প্রায় দেড় হাজার টাকা কমিয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
গোল্ডম্যান স্যাক্সের বরাত দিয়ে মার্কেটওয়াচ, এক্সপ্রেস ডট কো, ফিন্যান্সিয়ালপোস্টসহ বুধবার একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম স্বর্ণের দাম আরও কমতে পারে বলে খবর প্রকাশ করেছে।
Jeffrey R. Currie জানান, স্বর্ণের দাম আরও পড়বে। এই অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে স্বর্ণের লগ্নিকারীরা বিক্রি শুরু করেছেন, যার ফলে আরও পড়ছে দাম। এই বিশেষজ্ঞ ২০১৩ সালে লগ্নিকারীদের স্বর্ণ বিক্রি করার পরাপর্শ দেন।
প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম গত পাচ বছরে সর্বনিম্নে নেমে আসে। বিবিসির খবর অনুযায়ী, গত সোমবার বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হয় প্রতি আউন্স ১ হাজার ৮৮ ডলারে; যা ২০১০ সালের ২৬ মার্চের পর থেকে স্বর্ণের সর্বনিম্ন দাম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রত্যাশার তুলনায় চীনের আমদানি কম ও মার্কিন ডলারের মান শক্তিশালী হওয়ার কারণে এই দরপতন হয়েছে।
বাজুস র্নিধারিত বতর্মান বাজারে স্বর্ণের দাম ধরা হয়েছে, ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ৪২ হাজার ৯৮২ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট ৩৪ হাজার ২৩৪ টাকা। এ ছাড়া সনাতনী স্বর্ণ প্রতিভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ হাজার ৮৬১ টাকা।
সৌজন্যেঃ অর্থসূচক
এরকম আরো কিছু নিউজঃ
## স্বর্ণের দাম ৫ বছরে সর্বনিম্ন
## স্বর্ণের বিচিত্র যত ব্যাবহার!
## বিশ্বের শীর্ষ ১০ স্বর্ণ খনি