দকদো দ্বীপপুঞ্জের উপর জাপানের ‘অব্যাহত’ মালিকানা দাবীর কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। মঙ্গলবার প্রকাশিত জাপানের ‘প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্র ২০১৫’-তে এ বিষয়ে উল্লেখিত বক্তব্যের ‘সংশোধনী’ দাবী করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব না ফেলতে প্রতিবেশীদের সতর্ক করে দিয়েছে সিউল।
মঙ্গলবার জাপানের মন্ত্রীপরিষদে উত্থাপিত ওই শ্বেতপত্রে ১১তম বছরের মতো দকদোর (জাপানে তাকেশিমা নামে পরিচিত) উপর নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবী করেছে টোকিও। শ্বেতপত্র প্রকাশের পর কোরিয়ার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়দ্বয়ের তরফে সিউলস্থ জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের তলব করে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ বিষয়ে কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দকদোর উপর জাপানের অর্থহীন মালিকানা দাবী কোরিয়ায় তাঁদের অনধিকার প্রবেশের সাম্রাজ্যবাদী ইতিহাস অস্বীকৃতিরই নামান্তর। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানছে যে দেশটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির সত্তর বছরে দাঁড়িয়েও ইতিহাসকে সঠিকভাবে স্বীকার করছে না।”
বিবৃতিতে জাপানের এহেন ‘উস্কানি’কে দু’দেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনে কোরিয়ার গৃহীত উদ্যোগের প্রতিবন্ধকতা হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে বিভক্তকারী জলভাগে অবস্থিত এবং কোরিয়ার নিকটবর্তী দকদো দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত উত্তেজনা বিরাজ করছে। ১৯০৫ সালে এ অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপনের প্রাক্কালে জাপান দ্বীপপুঞ্জটি দখল করে। তবে ১৯৪৫ সালে কোরিয়ার স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এটি কার্যত কোরিয়ান কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানে কোরিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।