ভারতের ঋণগ্রস্ত সাত কৃষক আত্মহত্যা করতে প্রশাসনের ‘অনুমতি’র অপেক্ষায় রয়েছে। এই সাত কৃষকের মধ্যে তিন জান নারী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের ওয়ারধা জেলার ওয়াদাদ গ্রামে।
কৃষকের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি বেসরকারি সংস্থা বিদর্ভ জন আন্দোলন সমিতির প্রেসিডেন্ট কিশোর তিওয়ারি বলেন, ‘পরিস্থিতি এতই খারাপ যে ওই সাত কৃষক তাদের জীবন শেষ করার অনুমতি পেতে জেলার কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা রয়েছে।’
তিনি জানান, মহারাষ্ট্র সরকারের প্রতিশ্রুত সাহায্য পেতে গত জানুয়ারি থেকে এই সাত কৃষক দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা হতাশ হয়ে ১০ দিন আগে সরকারের স্থানীয় রাজস্ব কর্মকতার কাছে আত্মহত্যার করার জন্য ‘ছাড়পত্র’ চেয়ে চিঠি দেয়। এরপর ওই কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ‘আত্মহত্যার অনুমতিপত্রের’ প্রাপ্তি স্বীকারপত্র পায়, যা তারা রাজস্ব সংগ্রাহকের কার্যালয়ে জমা দেয় এবং সেখান থেকেও ওই চিঠি প্রাপ্তির স্বীকারপত্র পায় ওই কৃষকরা।
তিনি আরো জানান, গত বছর শিলাবৃষ্টি, খরা ও বন্যায় তাদের ফসলের যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ পেতে দেশটির সরকারের নিয়ম অনুসারে ওই সাত কৃষক জনপ্রতি চার হাজার টাকা পাওয়ার কথা। ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ওই টাকা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে আছে। কিন্তু জেলা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় ওই টাকা তারা তুলতে পারছে না। এই পরিস্থিতি তাদের এই ধরনের চিঠি লিখতে বাধ্য করছে।
এই শুষ্ক মৌসুমে ইতোমধ্যে এই প্রদেশে ৭০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। গত ১২ দিনের ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া