Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

jesifaমানুষের শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ প্রত্যেঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। হাত ছাড়া স্বাভাবিক জীবন কল্পনা করাই কঠিন। কিন্তু জন্মগতভাবে যাদের হাত নেই তারা কি নিজের ভাগ্যকে দোষ দেবে না-কি তাদের জীবনকে থামিয়ে দেবে।

অদম্য ইচ্ছা শক্তি মানুষকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে তা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার জেসিকা কক্সকে দেখলেই বোঝা যায়।

chardike-ad

২০০৮ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জেসিকা কক্সকে বিশ্বের প্রথম হাতহীন নারী বিমানচালকের স্বীকৃতি দেয়। আর নিজের নকল হাত খুলে রেখেই মার্শাল আর্ট শিখেছেন। প্রথম হাতবিহীন নারী হিসেবে তিনি নোন দো নামক ব্ল্যাকবেল্টধারী। আর পিয়ানো বাজাতে হাতের বিকল্প হিসেবে নিজের পা দু`টিকেই কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ছোটবেলা থেকেই নিজের শারীরিক এ ত্রুটিকে পাত্তা না দিয়ে বেশ খেলোয়াড়সুলভ স্পৃহা নিয়েই বেড়ে উঠেছেন জেসিকা। তাই তো জিমন্যাস্টিকস, নাচ এবং সার্ফিং শিখে ফেলেছেন অনায়াসে।

৩২ বছর বয়সী জেসিকা বলেন, “কোনো কিছুই রক্ত-মাংসের হাত-পায়ের বিকল্প হতে পারে না। তাই হাত নেই তো কী হয়েছে, আমার পা দু`টিকেই তো কাজে লাগাতে পারছি। আর দশটা মানুষ হাত দিয়ে যা করতে পারে, আমার পাগুলো তার চেয়ে কোনো অংশেই কম দক্ষ নয়।”

দৈনন্দিন যাবতীয় কাজের সাথে সাথে শারীরিক বিভিন্ন কসরত, কি-বোর্ডে টাইপ করা এবং বিমান চালানোও শিখে ফেলেছেন পা দিয়েই। ককপিটের জটিল সব যন্ত্রপাতি নিখুঁত দক্ষতায় পা দিয়ে নড়াচড়া করে ঠিকঠাক মতো বিমান চালাতে পারায় লাইসেন্সও পেয়েছেন তিনি।

আর গাড়ি তো সেই কবেই চালানো শিখেছেন। ব্যক্তিগত জীবনেও তার এ ত্রুটি কোনো প্রভাব ফেলেনি। তাই তো জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন তার প্রশিক্ষক প্যাট্রিক চেম্বারলিনের মতো একজনকে।

শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে জন্মানো মানুষগুলোকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে জেসিকা স্বামীকে নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছেন। এ কাজেও তিনি সফল হবেন বলেই আশা করা যায়।