female-driversবিশ্বের অনেক দেশেই এসব কাজ স্বাভাবিক হলেও সৌদি আরবে তা নিয়ে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। এগুলো হচ্ছে :

১. পোষা প্রাণী পালন করা তো দূরের কথা সৌদিতে রাস্তায় কুকুর-বিড়াল নিয়ে বেরও হওয়া যাবে না। অন্য দেশে সরকারের মাথা ব্যথার কারণ না হলেও সৌদিতে ব্যাপারটা ভিন্ন।

chardike-ad

২. সৌদি আরবে অবিবাহিত পুরুষ ও মহিলা কখনোই জনসম্মুখ্যে সাক্ষাৎ করতে পারে না। রেস্টুরেট ও শপিং মলের মতো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এলাকায় অবিবাহিত পুরুষ-মহিলা কখনো কথাও বলতে পারে না। শুধুমাত্র বিবাহিত হলেই উন্মুক্ত এলাকায় কথা বলতে পারে।

৩. বর্তমান যুগে ফোন ব্যবহার করা হবে এবং তাতে বিভিন্ন ফিচার থাকবেনা তা ভাবাও যায়না। কিন্তু ফিচার থাকার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারে না সৌদিবাসী। ২০০০ সালে সর্বপ্রথম এ নিয়ম করা হয় কারণ বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন দিয়ে নানা অনৈতিক কাজ সম্পাদিত হয় যা ইসলামের উপর আঘাত হানতে পারে।

৪. সৌদিদের চলচ্চিত্র দেখতে হলে বাহরাইন যেতে হয়। যেখানে সবুজ বাতির নিচে মদ পানের ব্যবস্থাও আছে। এ কারণে আপনাকে অবশ্যই বিবাহিত হতে হবে।

৫. আপনি যদি সৌদি নারী হন এবং আপনার বয়স যদি ৪৫ এর নিচে হয় তবে জেনে রাখুন আপনি কখনো একা ভ্রমণ করতে পারবেন না। অবশ্যই আপনার বাবা বা স্বামীকে আপনার সফর সঙ্গী হতে হবে।

৬. সৌদিতে ধর্ম স্বাধীনতা নেই। আপনি অন্য ধর্মের হলে জনসম্মুখে আপনি কখনোই উপাসনা করতে পারবেন না।

৭. সৌদি নারীদের জন্য খেলাধুলাও নিষিদ্ধ। তবে ইদানিং স্কুলে মেয়েদের জন্য খেলাধুলা ও শরীরচর্চার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

৮. মহিলারা কিন্তু খারাপ ড্রাইভার নয়, এটা সৌদি সরকারও জানে। এরপরও সৌদিতে মহিলারা কখনোই গাড়ি ড্রাইভ করতে পারে না।

৯. বিশ্বের সব দেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস পালিত হয়। কিন্তু সৌদিতে ভালোবাসা দিবস পালিত হয় না। ভালোবাসার রঙ যেহেতু লাল, সেদিন কেউ লাল জামাও পড়তে পারে না। দোকানে গোলাপও বিক্রি করে না।

১০. গান বাজনা অন্যান্য দেশে বিদ্যমান। হতেই পারে। বিশ্বের নানান দেশ তা থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করলেও সৌদির কোনো স্কুলে গানের শিক্ষার ব্যবস্থা নেই। সৌদির কোনো শপিং মলে জোরে গানও বাজানো যায় না।