Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

hanহঠাৎ করেই ভয়ার্ত ডাক শুরু করে দিয়েছে বাড়ির পোষা কুকুর কিংবা লেজ তুলে দৌড়তে শুরু করেছে হাতি। কিন্তু প্রানীদের হঠাৎ এমন আচরনের কারণ কেউ বুঝতে পারে না। বুঝতে পারে না তার ভাষা। আসলে এ সবই ছিল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগাম আঁচ। এ বার শুধু হাতি বা কুকুর নয়, মানুষকে সতর্ক করার দলে নাম লেখালো মুরগি, শূকর এমনকি মাছেরাও।

কিন্তু কিভাবে?

chardike-ad

যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আঁচ পশুপাখিরা আগেই পায়। কোনো দুর্যোগের আগে তারা ভয় পায়। বদলে যায় তাদের আচরণ। সদ্য ঘটে যাওয়া নেপালের ভূমিকম্প থেকে সাম্প্রতিক অতীতের সুনামি— এ হেন অনেক উদাহরণ রয়েছে। এ বার পশুপাখিদের এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আগাম সতর্ক হতে চাইছে মানুষ। সম্প্রতি চীনে এই নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়েছে।

চীনের জিয়াংসু প্রদেশে সাতটি চিড়িয়াখানা এবং অ্যানিম্যাল পার্ক ত‌ৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যেখানে হাজার খানেক পশুপাখির আচরণের ওপর লক্ষ রাখা হবে। প্রায় ২০০০ মুরগি, ২০০ শূকরকে বেছে নেয়া হয়েছে এই পরীক্ষার জন্য। বাদ যাচ্ছে না মাছেরাও। দুই বর্গ কিলোমিটারের পুকুরে মাছেদের আচরণও এ বার স্ক্যানারের তলায়। দিনে দু’বার করে পশুপাখিদের বিশেষভাবে নজরে রাখা হবে।

বিজ্ঞানী জাহো বিঙ্গ জানিয়েছেন, “ভূমিকম্পের আগে পশুরা ভয় পেয়ে যায়। পাখিরা নার্ভাস হয়ে পড়ে। তবে বিছিন্নভাবে শারীরিক অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে কোনো পশু বা পাখি অস্থির আচরণ করলে সেটা আলাদাভাবে নজর দেয়া হবে। কিন্তু কোনো বিপর্যয়ের আভাস পেলে পশুপাখিরা দলবদ্ধ ভাবে অস্থির আচরণ করতে থাকে। আর তা থেকে হয়ত আমরা সতর্ক হতে পারি।”

বিজ্ঞানীদের এই পরীক্ষা সফল হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে মানুষই। সুতরাং এখন শুধুই বিজ্ঞানীদের সাফল্যের আশায় দিন গোনা।