১. দৃষ্টিকে সব ধরনের গোনাহ থেকে থেকে হেফাজত করা। তা সরাসরি দেখা হোক বা টিভি-সিনেমায় দেখা হোক বা ম্যাগাজিন ও পত্রিকার ছবি হোক।
২. জবানের হেফাজত করা। অর্থাৎ মিথ্যা, গিবত, পরনিন্দা, অশ্লীল কথাবার্তা ও ঝগড়া থেকে রিবত থাকা। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় মিথ্যাচার ও মন্দ কাজ ত্যাগ করেনি তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। -সহিহ বুখারি: ১/২৫৫, হাদিস- ১৯০৩
অন্য এক হাদিসে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘রোজা অবস্থায় তোমাদের কেউ যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং শোরগোল, হট্টগোলে লিপ্ত না হয়। যদি কেউ তার সঙ্গে গালিগালাজ বা মারামারি-কাটাকাটিতে লিপ্ত হতে চায় তবে সে (অনুরূপ আচরণ না করে) বলবে, আমি রোজাদার।’ -সহিহ বুখারি: ১/২৫৫, হাদিস- ১৯০৪
এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, রোজা অবস্থায় মারামারি ও ঝগড়াঝাটি তো দূরের কথা, শোরগোল করাও রোজার আদব পরিপন্থী। অতএব জবানকে এসব থেকে বিরত রেখে সর্বদা জিকির-আজকার ও কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে তরতাজা রাখবে।
৩. কানের হেফাজত। যেমন- গান শোনা, গিবত, পরনিন্দা ও অশ্লীল কথাবার্তা শোনা থেকে বিরত থাকা।
৪. অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, যেমন হাত-পা ইত্যাদিকেও গোনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা।
৫. সেহরি ও ইফতারে হারাম আহার পরিহার করা। ইমাম গাজ্জালী (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি সারাদিন রোজা রেখে হারাম মাল দ্বারা ইফতার করে সে যেন একটি অট্টালিকা নির্মাণ করে আর একটি শহর ধ্বংস করে।
৬. অন্তরকেও সব রকমের গোনাহ থেকে বিরত রাখা। যেমন- গোনাহের কল্পনা করা, পেছনের গোনাহ স্মরণ করে স্বাদ গ্রহণ করা, অহঙ্কার, হিংসা, কু-ধারণা ইত্যাদি থেকে অন্তরকে হেফাজত করা।