Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

UK-BD+Familyযুক্তরাজ্য থেকে স্বদেশ ঘুরে ফেরার পথে উধাও হয়ে গেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একটি পরিবার, যা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন চলছে প্রবাসীদের মধ্যে। তবে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরে বসবাসরত ১২ সদস্যের ওই পরিবার সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে বলে যুক্তরাজ্য পুলিশের ধারণা।

ওই পরিবারের অন্য সদস্যরা এ বিষয়ে কিছু না বললেও নিখোঁজ স্বজনদের নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন।

chardike-ad

নিখোঁজ ১২ সদস্যের ওই পরিবারে তিনটি শিশু রয়েছে। বয়োবৃদ্ধ দুজনের মধ্যে একজন নারী ক্যান্সারের এবং পুরুষ ডায়াবেটিস রোগী বলেও যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যমের খবর।

পরিবারটির সদস্যরা হলেন- মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান (৭৫), তার স্ত্রী মিনারা খাতুন (৫৩), তাদের মেয়ে রাজিয়া খানম (২১), ছেলে মোহাম্মদ জায়েদ হুসাইন (২৫), মোহাম্মদ তৌফিক হুসাইন (১৯), মোহাম্মদ আবিল কাশেম সাকের (৩১) এবং তার স্ত্রী সাঈদা খানম (২৭); মোহাম্মদ সালেহ হুসাইন (২৬), তার স্ত্রী রশানারা বেগম (২৪) এবং তাদের তিন সন্তান, যাদের বয়স এক থেকে ১১ বছর।

যুক্তরাজ্য পুলিশকে উদ্ধৃত করে বিবিসি জানায়, গত ১০ এপ্রিল এই পরিবারটি বাংলাদেশে যায়। এক মাস পর ১১ মে তারা ফেরার জন্য রওনা হন। ১১ মে তারা ইস্তাম্বুল পৌঁছলেও তিন দিন পর তাদের লন্ডন হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা থাকলেও তারা আসেনি।

তুরস্ক থেকে সিরিয়া যাওয়ার সন্দেহ প্রকাশ করলেও বেডফোর্ডশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারটি ঠিক কবে নাগাদ সীমান্ত অতিক্রম করেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। বিষয়টির তদন্ত চালাচ্ছে তারা।

পরিবারটির কোনো সদস্যের নাম সন্ত্রাসীদের তালিকায় ছিল কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে ওই পরিবারের কয়েকজন নারী উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা স্থানীয়দের। তারা সন্দেহ করছেন, গ্রেপ্তার এড়াতে তারাই পুরো পরিবারটি নিয়ে যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন।

লুটনে ওই পরিবারের প্রতিবেশীদের একজন সৈয়দ হুসাইন বিবিসিকে বলেন, পরিবারটি এভাবে গায়েব হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ বেশ কয়েকবার তাদের বাড়িতে গেছে এবং খোঁজ-খবর করেছে। “আমি শুনেছি, তারা সিরিয়া চলে গেছে। বয়োজ্যেষ্ঠ দুজনের জন্য খারাপ লাগছে। খুব সম্ভবত এসবের কিছুই তারা জানেন না।”

ওই পরিবারের যুক্তরাজ্যে থাকা স্বজনদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “স্বজনদের এভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় তারা ভেঙে পড়েছেন। কারণ এ আচরণ তাদের স্বভাববিরুদ্ধ।”

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্থানীয় ব্যবসায়ী ওলি খান বলেন, পুরো ঘটনাটি দুঃখজনক। কিছু দিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল। এখন পুলিশ তদন্ত শুরুর পর গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পাচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির সবাই বেশ উদ্বিগ্ন।