স্বর্গোদ্যান বলে খ্যাত দ্বীপদেশ মরিশাস একটি উন্নত গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চর্চা ক্ষেত্র । হিন্দুপ্রধান দেশ হলেও এখানে সংখ্যালঘু মুসলমান ও খ্রিস্টানদের সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। এমনকি ধর্মীয় রীতি নীতি পালনে কোন বাধা-নিষেধ নেই। দেশটির অধিকাংশ জায়গায় মসজিদ-মন্দির পাশাপাশি হলেও উপাসনার সময় কোনো ধরনের সমস্যাও হয় না। রমজান মাস এলে দেশটির মসজিদগুলোতে সেই চিত্রই চোখে পড়ে।
মরিশাসে ১৯.৫ শতাংশ মুসলমান। রমজানের রোজা রাখার ব্যাপারে খুবই সচেতন এখানকার মুসলিম সম্প্রদায়। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এখানে রোজা শুরু হয়। শীতের দিন ছোট থাকায় রোজা রাখতে তেমন কোন সমস্যা না থাকলেও বর্তমানে মরিশাসে সারা দিনই প্রচন্ড গরম থাকে। উত্তপ্ত দাবানলের মধ্যেই তারা ১২ ঘণ্টা রোজা রাখছেন। এখানকার মুসলমানদের কাছে রমজান মাস কেবল পানাহার থেকে বিরত ও ভোজ-উৎসব নয়। বরং রহমত, বরকত ও মাগফিরাত কামনাই তাদের আসল উদ্দেশ্য। আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় রোজা, নামাজ আর ইবাদত বন্দেগি করে সময় পার করেন তারা। তারাবি নামাজের সময় কানায় কানায় ভরে যায় এখানকার মসজিদগুলো।
মরিশাস হিন্দুপ্রধান দেশ। কিন্তু এখানে সংখ্যালঘু মুসলমান ও খ্রিস্টানদের সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। দেশটির অধিকাংশ জায়গায় মসজিদ ও মন্দির পাশাপাশি থাকা সত্ত্বেও ধর্মীয় রীতি নীতি পালনে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয় না। সংখ্যালঘুদের ধর্ম পালনে কোনো বাধা-নিষেধ নেই।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন হিন্দুপ্রধান দ্বীপদেশ মরিসারের প্রথম নারী ও মুসলিম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির জীববিজ্ঞানী আমিনা গারিব।