south-africaএ যেন নতুন এক বাংলাদেশ। যার শুরুটা হয়েছে গত বছরের শেষে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় দিয়ে। আর তার পটভূমি রচিত হয় অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে। এরপর ঘরের মাটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশের মধ্য দিয়ে ক্রিকেট বইয়ে শুধু এগিয়েই যাচ্ছে সে গল্পের পরিক্রমা।

এবার ভারতের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জিতে এরই মধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। পাকিস্তানের পর হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পথে ভারত। এমন বাংলাদেশকে দেখে এবার ভয় ধরেছে দক্ষিণ আফ্রিকানদের মনেও।

chardike-ad

প্রোটিয়া টিম ম্যানেজমেন্টকে সতর্ক করে সাবেক প্রোটিয়া বোলার বলেন, এই বাংলাদেশ ওয়ানডেতে বেশ ভয়ঙ্কর। বিশেষ করে নিজেদের মাটিতে। পাকিস্তান এবং ভারতের মত শক্তিশালি দলকে হারিয়েছে তারা। সুতরাং, সেখানে সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে নিজেদের প্রস্তুতিটা যেমন বেশ ভালো হওয়া প্রয়োজন, তেমনি পূর্ণ শক্তির দলও সেখানো পাঠানো দরকার।’

বাংলাদেশ সফরে প্রোটিয়ারা ডি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলা, ফ্যাফ ডু প্লেসিস এবং জেপি ডুমিনির মত খেলোয়াড়রা টি২০ এবং ওয়ানডে দলে থাকলেও, থাকছেন না ডেল স্টেইন এবং ভারনন ফিল্যান্ডারের মত পেসাররা।

আন্দ্রে নেল মনে করেন, ডেল স্টেইন আর ভারনন ফিল্যান্ডারের না থাকার অর্থ প্রোটিয়াদের বোলিং আক্রমণের ধার কমে যাওয়া। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা টিম ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশের সফরের জন্য যে দল গঠন করেছে সেটা পূর্ণ শক্তির নয়। খর্ব শক্তির। ফলে বাংলাদেশ সফরে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের।

সাবেক প্রোটিয়া এই পেসার বলেন, বাংলাদেশ দলটি অভিজ্ঞ ও তরুন ক্রিকেটারে দারুণ সমন্বিত একটি দল। যারা অসাধারণ পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে। কিন্তু ভয়ের বিষয় হলো, দক্ষিণ আফ্রিকা দলটি বাংলাদেশকে সম্ভবত খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে না।

জুলাইর প্রথম সপ্তাহেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শুরু হবে বাংলাদেশের হোম সিরিজ। দুটি টি২০, তিনটি ওয়ানডে এবং ২টি টেস্ট দিয়ে সাজানো পূর্ণাঙ্গ এই সিরজটি। ৫ জুলাই টি২০ দিয়ে শুরু হবে এই সিরজটি।