সেই প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে স্বর্ণ সবসময়ই আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে এসেছে। এই হলুদে ধাতুর প্রতি ভারতের ভালবাসার ইতিহাস ৪,০০০ বছরের পুরোনো। এর সাথে যুক্ত রয়েছে আবেগ, সংস্কৃতি, ধর্মীয় ও আর্থ সামাজিক বিষয়। আমাদের অনেকের কাছেই এটা জৌলুসের প্রতীকও বটে। একটি সোনার চুড়ি বা ব্রেসলেট জন্মদিনের উপহার হিসেবে অত্যন্ত আনন্দদায়ক। কিন্তু অলংকার ছাড়াও সোনা আরো নানা কাজে ব্যবহার করা যায়। আপনার যদি যথেষ্ট সম্পদ থাকে, তবে আপনি সোনা দিয়ে চমকপ্রদ নানা জিনিস তৈরি করতে পারেন। তো চলুন দেখে নেয়া যাক সোনার বিচিত্র কিছু ব্যাবহার।
সোনার টয়লেট পেপার:
১.৩ মিলিয়নেরও বেশি ডলারের জন্য ‘টয়লেট পেপার ম্যান’ নামের একটি কোম্পানি ২৪ ক্যারেট সোনার টয়লেট পেপার বিক্রি করে। অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি এই টয়লেট পেপার পৃথিবীর সবেচেয়ে দামি টয়লেট পেপার। এটা শতভাগ ব্যবহারযোগ্য ও নিরাপদ। এক বোতল শ্যাম্পেনসহ র্যা পিং পেপারে মুড়িয়ে এই টয়লেট পেপারের রোল বিতরণ করা হয়।
গোল্ড ফেসিয়াল:
ত্বকের যত্ন নিয়ে আমরা নানাধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি, করে থাকি ফেসিয়াল। এই ফেসিয়ালে নানা উপাদান ব্যবহার করি। কিন্তু রূপচর্চার এই পদ্ধতিটিই রাজকীয়ভাবে করা যায় সোনা ব্যবহার করে। জানা যায়, ২৪ ক্যারেটের এই গোল্ড ফেসিয়ালে ত্বকের নানা উপকার হয়। এটি ব্যবহারে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় এবং ত্বককে দেখায় আগের চেয়েও নতুন ও প্রাণবন্ত। একবার এমন একটি গোল্ড ফেসিয়াল করতে আপনাকে গুণতে হবে এক হাজার ডলার বা আশি হাজার টাকা।
স্বর্ণ সিন্দুক:
আসুন, কথা বলা যাক বেড়াতে যাওয়া নিয়ে। আভিজাত্যময় ভ্রমণে সাথে একটি সোনার কারুকার্যুময় সিন্দুক বা কৌটা থাকতেই পারে। এটাকে বলা যায়, রাজকীয় বিলাসী সোনালি কৌটা। এমনই একটি সোনার কৌটা অ্যামেরিকান চেরি কাঠ দিয়ে তৈরি। যাতে ব্যবহৃত হয়েছে ২৪ ক্যারেট সোনার দুইস্তর পাত। এটাকে আরো বিলাসবহুল করতে লাল রুবিও ব্যবহার করা হয়েছে।
সোনার চকোলেট পুডিং:
খাওয়া দাওয়ার পর আমরা প্রায়ই মিষ্টান্ন গ্রহণ করে থাকি। পঁয়ত্রিশ হাজার ডলারের এই চকোলেট পুডিংটি পেতে হলে আপনাকে দুই সপ্তাহ আগেই অগ্রিম বুকিং দিতে হবে। শিল্পকর্মের মতো দেখতে এই পুডিং সোনার পাত, ক্যাভিয়র আর ২ ক্যারেটের হীরা দিয়ে সুশোভিত। এটা নিশ্চিত বলে দেয়া যায় যে, এমন খরুচে একটি পুডিং আপনি প্রতিটি কামড়ে উপভোগ করবেন।
সোনার জামা:
আপনি যদি আরামদায়ক পোশাক পরতে চান, তবে এই জামাটির ব্যাপারে আপনাকে নিরুৎসাহিত করবো। কিন্তু আপনি যদি আরামের চেয়ে স্টাইলকে বেশি গুরুত্ব দেন, তবে নিশ্চিতরূপে স্ফটিকের বোতামওয়ালা সাদা ভেলভেট ও ৩.২ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি এই শার্টটি কিনতে পারেন। অভিনব এই শার্টটি বাইশ হাজার চারশ ডলার দিয়ে কিনেছেন ভারতের দত্তা ফুগে।