লন্ডনভিত্তিক বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যম বিবিসি বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। বিবিসির সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নিক রবিনসন এ কথা জানিয়েছেন। রোববার এ খবর দিয়েছে টেলিগ্রাফ।
বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক রবিনসন জানান, গত মে মাসে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে টরি পার্টির (কনজারভেটিভ পার্টি) প্রচারণার জন্য বাসে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে বিবিসি বন্ধের হুমিক দেন দলটি প্রধানমন্ত্রীপ্রার্থী ক্যামেরন।
রবিনসন বলেন, ‘তিনি নিশ্চিত নন যে, ক্যামেরন মজা করেছিলেন, না হুমকি দিয়েছিলেন।’ তবে তিনি দাবি করেন, তখন থেকে বিবিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটু চাপ অনুভব করছেন।
তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি যখন বাসে যাচ্ছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন বিবিসির একটি প্রতিবেদনকে ‘বর্জ্য’ বলে তিরস্কার করেন। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘নির্বাচনের পর আমি এগুলো (বিবিসি) বন্ধ করতে যাচ্ছি।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে রবিনসন বলেন, ‘এটা মানুষ কীভাবে নিয়েছেন সেটাই আসল বিষয়। সেখানে উপস্থিত কিছু ব্যক্তি এটাকে কৌতুক হিসেবে নিয়েছেন। কারণ তারা সাধারণত বিবিসিতে কাজ করেন না। আর যারা বিবিসিতে কাজ করেন, তারা বিষয়টিকে একটু চাপ হিসেবে নিয়েছেন।
কনজারভেটিভ পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা বিবিসিকে ‘বামপন্থী পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিযুক্ত করে থাকেন।
রবিনসন জানান, এ মন্তব্য দলের শীর্ষ নেতা সাজিদ জাভিদসহ কনজারভেটিভ পার্টির মন্ত্রীদের মধ্যে প্রকাশ্য ও পরোক্ষ আলোচনা হয়। বিবিসি কর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়।
বিবিসি ব্রিটেনের সরকারী সম্প্রচার মাধ্যম। এটি ব্রিটিশ রয়েল চার্টার দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত। রাজ পরিবারের অনুদানের অর্থে কর্মচারী-কর্মকর্তা-সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়।