সৌদি আরবে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের পবিত্র রমজানে রোজা পালন বাধ্যতামূলক। কিন্তু ইয়েমেন সীমান্তে মোতায়েনকৃত সৌদি আরবের সেনাদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম খানিকটা শিথিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধান ধর্মীয়নেতা গ্র্যান্ড মুফতি শেইখ আবদুল আজিজ আল-আশেইখ ঘোষণা দিয়েছেন, ‘ইয়েমেন সীমান্তে শত্রুদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদে নিয়োজিত’ সৌদি সেনারা রোজা রাখতে অক্ষম হলে তাদের রোজা রাখতে হবে না। এমনকি যুদ্ধের সময় রোজা রাখা কঠিন হয়ে পড়লে দিনের মধ্যভাগে রোজা ভাঙতে পারবেন তারা।’
রণাঙ্গনে মোতায়েন সৌদি সেনাদের রমজানের শুভেচ্ছাও জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা আল্লাহর ওয়াস্তে ও আল্লাহর নামে যুদ্ধ করছেন এবং আমরা খুবই গর্বিত, আপনারা আপনার দেশকে রক্ষা করছেন। যদি রোজা পালনের সক্ষমতা আপনার থাকে, তাহলে আপনি সেটি মেনে চলবেন, সক্ষমতা না থাকলে রোজা রাখার দরকার নেই।’
কিন্তু আইনের দোহায় দেখিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগে রোজা ভাঙা যাবে না বলেও তিনি সেনাদের স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘এ জন্য আল্লাহ আপনাদের একটি মহান বিজয় দান করবেন এবং সহায়তা করবেন।’
সৌদি আরবের শীর্ষ পণ্ডিতদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট গ্র্যান্ড মুফতি আল-আশেইখ এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে ‘ফতোয়া’ দিয়ে বিশ্বে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন এবং সমালোচিতও হয়েছেন।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট গত ২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনের ক্ষমতা দখলকারী শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। সেই হামলার জবাব দিতে সৌদি আরব সীমান্তে মাঝেমধ্যে মর্টারশেল ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে হুতিরা।
তথ্যসূত্র : আবর নিউজ।