সুযোগটা তাঁর হাতেই ধরা দিয়েছিল। ইনিংসের ৪১ আর নিজের দশম ওভারের পঞ্চম বলে। মোহিত শর্মার ফিরতি ক্যাচটা মুঠোয় নিয়েও জমাতে পারেননি। পারলেই ইতিহাসে ঠাঁই হয়ে যেত মুস্তাফিজুর রহমানের। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৫৮টি ওয়ানডে হয়েছে। ১ হাজার ৬০৮ জন বোলার বল করেছেন ওয়ানডেতে। কিন্তু অভিষেকে ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে শুধু একজনের।
২০০৩ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ফিদেল এডওয়ার্ডস। ওয়ানডেতে আরও নয়জনের অভিষেকে ৫ উইকেট আছে। কিন্তু এডওয়ার্ডসের পাশে কেউ নেই। আজ ফিরতি ক্যাচটা নিতে পারলেই সেই বিশ্ব রেকর্ডটা ভাগাভাগি করতে পারতেন।
কিংবা কে জানে, হয়তো গড়া হতো নতুন বিশ্ব রেকর্ড। এই দাবি মুস্তাফিজ করবেন না নিশ্চিত। সাতক্ষীরার ২০ বছর বয়সী লাজুক তরুণের মুখে যে কথাই ফোটে না। তবে মুস্তাফিজের হয়ে যে কেউ এই দাবি করতেই পারেন। ইনিংসের ২১ ও ২৩ ওভারে পর পর দুটো উইকেট নিয়ে যখন দারুণ ছন্দে ছিলেন, সেই সময় ২৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ধোনির সঙ্গে তাঁর সেই ধাক্কার ঘটনা। ওভারের বাকি চারটা বল আর করতেই পারেননি। করে দিয়েছেন নাসির হোসেন।
১২ ওভার পর আবার ফিরেছেন বোলিং মার্কে। আর ফিরেই ৫ বলের মধ্যে ৩ উইকেট। জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও। ওয়ানডে অভিষেকে হ্যাটট্রিক যে আর কারও নেই। শেষ পর্যন্ত ৯.২ ওভারে ১ মেডেন, ৫০ রানে ৫ উইকেট। স্বপ্নের মতো শুরু। মুস্তাফিজ যদি দাবি করেন, ধাক্কার ঘটনাটি না ঘটলে হয়তো উইকেট পেতেন আরও বেশি। এমনও তো বলতে পারেন, আমার তো চারটা বল করাই হলো না।
না, তিনি বলবেন না। বলার প্রয়োজনও নেই। যা করেছেন, তাতেই তাঁকে অনেক দিন মনে রাখবে সবাই। তবে এখানেই থেমে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা তাঁর নিশ্চয়ই নেই। এ তো কেবল যাত্রার শুরু!
অভিষেকে ৫ উইকেট
বোলার | বোলিং ফিগার |
এডওয়ার্ডস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) | ৬/২২ |
ডোডিমেইড (অস্ট্রেলিয়া) | ৫/২১ |
কারনাইন (শ্রীলঙ্কা) | ৫/২৬ |
কডরিংটন (কানাডা) | ৫/২৭ |
তাসকিন (বাংলাদেশ) | ৫/২৮ |
ডোনাল্ড (দক্ষিণ আফ্রিকা) | ৫/২৯ |
ভিটোরি (জিম্বাবুয়ে) | ৫/৩০ |
ইয়াং (আয়ারল্যান্ড) | ৫/৪৬ |
মুস্তাফিজ (বাংলাদেশ) | ৫/৫০ |
ফার্নান্দো (শ্রীলঙ্কা) | ৫/৬৭ |
* কেবল বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার দুজন বোলারের অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে