আইসিসি এখনো তাদের ওয়ানডে র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেনি। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে বলাও যাচ্ছে না। তাতে থোড়াই কেয়ার বাংলাদেশ দলের! নিজেদের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছাল বাংলাদেশ দল। উঠে গেল র্যাঙ্কিংয়ের সাতে।
বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ ছিল, ভারতের বিপক্ষে একটা ম্যাচ জিতলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তারা টপকে যাবে। সেই কাজটা সিরিজের প্রথম ম্যাচেই করল বাংলাদেশ। ৮৮ থেকে বেড়ে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট হয়ে গেল ৯১। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৮৮, পাকিস্তানের ৮৭।
বাংলাদেশের জন্য সুখবর হলো, ভারতের বিপক্ষে সিরিজটা এখন হেরে গেলেও সাতেই থাকবে তারা। ২-১ ব্যবধানে হারলেও তাদের রেটিং পয়েন্ট হবে ৮৯। তবে প্রথম ম্যাচে যেভাবে দাপটের সঙ্গে জিতল বাংলাদেশ দল, তাতে ‘সিরিজ হেরে গেলে’র সম্ভাব্যতাতেও আপত্তি করতে পারেন সমর্থকেরা। তা-ই সই। ২-১ সিরিজ জিতলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৩। আর পাকিস্তানের পর ভারতকেও বাংলাওয়াশ করতে পারলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট হবে ৯৬। ছয়ে থাকা ইংল্যান্ডের রেটিং পয়েন্টও কিন্তু ৯৬। অবশ্য একই সময় তারা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও সিরিজ খেলছে। যেটিতে আপাতত ২-২ সমতা।
ইংল্যান্ডকে নিয়ে না ভাবলেও চলছে। বাংলাদেশের সামনে সুবর্ণ সুযোগ র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করার। সেপ্টেম্বর ৩০-এর মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের আটে থাকা দলগুলোই খেলবে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। আর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাঙ্কিংয়ে আট নম্বরের ভেতরে থাকতে পারলে আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ, খেলতে হবে না বাছাই পর্ব।