ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানের চেয়ারম্যান ইমরান খান। বুধবার এক টুইট বার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় দেয়া বক্তব্যেই মূলত চটেছে পাকিস্তান। গত রোববার বাংলাদেশ সফরকালে মোদি বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান ‘উপদ্রপ’ এবং ‘প্রতিনিয়ত’ সন্ত্রাসবাদের উন্নতি ঘটিয়ে ভারতকে বিরক্ত করে’।
টুইট বার্তায় ইমরান খান বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার সরকার অযোগ্যতার সীমা অতিক্রম করেছে। তাদের শক্তভাবে মোকাবেলা করা উচিত।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে মোদির দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে এ কথা বলেন তিনি। মোদির নির্বাচনে জয়কেও ভারতীয়দের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয় বলে অভিহিত করেন সাবেক এই ক্রিকেট তারকা।
তিনি বলেন, মোদি এবং তার সরকারের বাস্তবে কোনো কিছু করার ক্ষমতা নেই। তাই নিজ দেশের মনোবল বাড়াতে বিবাদমান ইস্যু নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু এই ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দেয়া থেকে মোদিকে চুপ থাকতে হবে।
ইমরান খান আরো বলেন, ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে এ রকম বিবৃতি এবং অভিযোগ প্রমাণ করে যে, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তির বিষয় নিয়ে ভারতীয়রা হতাশ।
তিনি বলেন, মোদি সরকার চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের স্বাক্ষরিত চুক্তিকে প্রভাবিত করতে এবং চাপে রাখার জন্য কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।
পুরো পাকিস্তানের জনগণ দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে আছে। তারা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ও অখণ্ডতা রক্ষায় সহায়তা করতে সদা প্রস্তুত, যোগ করেন ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফেরও ভারতঘেষা নীতির সমালোচনাও করেন তিনি।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে আক্রমণাত্মক আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানান। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানকে রক্ষায় সদা প্রস্তুত, এ বিষয়ে কারো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করি না।