Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
probasi
ফাইল ছবি

সাগরে ভাসমান অবস্থায় মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার হওয়া ২০৮ অভিবাসীর মধ্যে শনাক্ত হওয়া ১৫০ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের ঘুমধুম ও মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকে পর মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ (বিজিপি) এই বাংলাদেশিদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

এরপর বেলা ১টা ৫০ মিনিটে ঘুমধুমের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সেতু দিয়ে ৩০ জনের প্রথম দলটি দেশে প্রবেশ করে। এরপর তাদের ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এনে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

chardike-ad

বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে বিজিবি কর্মকর্তারা জানান।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খোন্দকার সাইফুল আলম এবং মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মিয়ানমার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের পরিচালক চ. নারিং।

ফেরত আনাদের মধ্যে নরসিংদীর ৫৫ জন ও কক্সবাজারের ৩৪ জনসহ মোট ১৭ জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের যে তালিকা পাঠায় তা ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘অপূর্ণাঙ্গ’ হওয়ায় বাংলাদেশ আপত্তি তোলে। পরে পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে ফের চিঠি পাঠানো হয়।

এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার দুইশ জনের একটি তালিকা পাঠায় মিয়ানমার। তালিকাটি যাচাই করে এই দেড়শ জনকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে শনাক্ত করা হয়।
এছাড়া ২৯ মে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনী সাগর থেকে আরও ৭২৭ জনকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যেও বাংলাদেশি রয়েছে বলেও দাবি করছে মিয়ানমার।