শিক্ষক হতে নতুন শর্ত প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। নতুন শর্তে শিক্ষক হতে পারবেন না পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী। এখন থেকে শিক্ষক হতে হলে শিক্ষাজীবনের যেকোনো স্তরে সর্বনিম্ন দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে। সরকার শিগগিরই এই নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।
দেশে বর্তমানে প্রায় এক লাখ নিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৪০ হাজার প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের। আবার এই ৪০ হাজারের মধ্যে ৩৮ হাজারই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের। এই ৩৮ হাজারের মধ্যে প্রায় ২৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীকে তাদের বেতন-ভাতা বা এমপিও দেয় সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মোট বাজেটের ৬৪ ভাগেরও বেশি অর্থ চলে যায় এই খাতে।
বিভিন্ন অনুসন্ধান আর পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সরকার এত টাকা এমপিও বাবদ ব্যয় করলেও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে না। উপরন্তু সরকারের নীতি-নির্ধারকরা মনে করছেন, এমপিওর গোটা অর্থই অনর্থক ব্যয় হচ্ছে। এ বাস্তবতায় বিগত একযুগে মাত্র দুবার নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত না হওয়ার পেছনে যেসব কারণ রয়েছে, তার অন্যতম অযোগ্য ও অদক্ষ শিক্ষক। মাধ্যমিক শিক্ষা খাত উন্নয়ন প্রোগ্রামের (সেসিপ) যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক রতন রায় জানান, এই স্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অনেকেই আছেন যারা তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণীপ্রাপ্ত। এসব শিক্ষকের অনেকেরই পরিস্থিতি এমন যে, শিক্ষা ও পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে দেয়া সরকারি বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ভাষা পর্যন্ত বোঝেন না।
প্রস্তাবিত নীতিমালা পাস হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরও অন্তত ১ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর নতুন করে চাকরির সংস্থান হবে। বর্তমানে বিজ্ঞানের বিষয়ে ১ জন শিক্ষক নিয়োগ করা যায়। প্রস্তাবিত নীতিমালায় দুজন করা হয়েছে।