জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দেশরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। নাগরিক কমিটির সভাপতি ও সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক তাঁকে এই উপাধিতে ভূষিত করেন।
যদিও এর আগে ২০০১ সালের ১৭ মে পল্টন ময়দানে এক ছাত্র গণসংবর্ধনায় শেখ হাসিনাকে প্রথম ‘দেশরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
সৈয়দ শামসুল হক বলেন, ‘আজ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের প্রারম্ভে আবশ্যিকভাবে “দেশরত্ন” শব্দটি ব্যবহার করব। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে তাঁকে “দেশরত্ন” উপাধিতে ভূষিত করছি।’ এ সময় উপস্থিত জনতা করতালির মাধ্যমে এই উপাধিকে স্বাগত জানায়।
ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের’ জন্য তাঁকে এ নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
২০০১ সালের ১৭ মে ওই ছাত্র গণসংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রীকে ‘দেশরত্ন’ উপাধি দেন তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারী। তিনি সেদিনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আমরা তাঁকে ‘‘দেশরত্ন’’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম। তবে অনেকে এটা ব্যবহার করত, অনেকে করত না। আজ শামসুল হক সাহেবের ঘোষণার পর জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে যেমন ‘‘বঙ্গবন্ধু’’ ব্যবহার হয়; ঠিক তেমনই প্রধানমন্ত্রীর নামের শুরুতে ‘‘দেশরত্ন’’ শব্দটি ব্যবহৃত হবে।’
সুত্রঃ প্রথম আলো