Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

time-of-deathকেউ জানে না মরণের পর কী অবস্থা হয়। তবে কিছু কিছু মানুষ দাবি করছেন অল্প সময়ের জন্য মৃত্যুর অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করেছেন। তাঁদের দেওয়া এই সব অভিজ্ঞতার বিবরণ যেমন বিচিত্র, তেমনই অসামান্য।

চিকিৎসকদের মতে, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে হৃদস্পন্দন থেমে যায় সাথে শেষ হয়ে যায় যাবতীয় উপলব্ধি। মৃত্যুর পর  কী মানসিক অবস্থা দাঁড়ায়, সে কথা এখনও অজানা। কিন্তু যারা খুব অল্প সময়ের জন্য মরণের পার থেকে ঘুরে এসেছেন তুলে ধরছি তাদের অভিজ্ঞতা।

chardike-ad

এঁদেরই একজন জানিয়েছেন, জীবনের অন্তিম মুহূর্তে তাঁর চোখের সামনে সব কিছু বর্ণহীন এবং কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিল। তার পর ধীরে ধীরে নিকষ অন্ধকারে সব কিছু মুছে গিয়েছিল। এই উপলব্ধি মাত্র কয়েক সেকেন্ডের। এর পরই চিকিৎসকদের কথা শুনে তিনি বুঝতে পারেন, মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফিরে এসেছেন।

একজন মহিলা জানিয়েছেন, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অত্যন্ত হাল্কা বোধ করতে শুরু করেন। একই সঙ্গে অদ্ভুত নির্মল আনন্দে তাঁর মন পূর্ণ হয়ে ওঠে। মজার ব্যাপার হল, জ্ঞান ফিরে আসার পর তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘মাইকেলেঞ্জেলোর ব্যাপারটা খুব দুঃখের নয় কি?’

আমেরিকার এক প্রৌঢ় জানিয়েছেন, মৃত্যু ঘটার পর এক আলোকিত ও দিগন্ত বিস্তৃত দেওয়ালের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন। নির্জন সেই পাঁচিলে ছিল না কোনও ফটক। আবার মৃত্যুর ঠিক পরে দম-বন্ধ-করা এক গুদামের ভিতর নিজেকে আবিষ্কার করেন একজন। সেখান থেকে বেরোনোর কোনও দরজা খুঁজে পাননি তিনি।

আরেকজন কবুল করেছেন, কলেজে পড়ার সময় অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে প্রায় তিন মিনিট তাঁর দেহে প্রাণের সাড়া মেলেনি। সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে যাওয়ার পথে, তিনি নিজেকে স্ট্রেচারের উপর শুয়ে থাকতে দেখেছিলেন। শুধু নিজের দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সব কিছু নিরীক্ষণের অভিজ্ঞতা হয়েছিল বলে তাঁর দাবি।

তবে সবারইএমন অভিজ্ঞতা হয়নি। কেউ কেউ জানিয়েছেন, সেই সময় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়েছিল তাঁদের চেতনা। বলা বাহুল্য, মৃত্যুপুরীতে কেউ কোনও দেবদূত বা যমদূতের সাক্ষাত্ পাননি। ঈশ্বরদর্শনও হয়নি কারও।

তথ্য সুত্রঃ অন্য দিগন্ত